শিরোনাম
সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পূরণ হচ্ছে না রপ্তানি টার্গেট

জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা তিন মাস ধরে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকার পর জানুয়ারিতে রপ্তানি আয় বেড়েছে। তবে সরকার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, তা পূরণ হয়নি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে জুলাই-জানুয়ারি প্রান্তিকে কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৫৮৭ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে প্রকৃত রপ্তানি আয়ের পরিমাণ হচ্ছে ৩ হাজার ৩২৬ কোটি মার্কিন ডলার। সরকারের লক্ষ্যের তুলনায় প্রায় ২৬১ কোটি মার্কিন ডলার বা ৭ শতাংশ রপ্তানি আয় কম অর্জিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনের পর বছরের প্রথম মাসে রপ্তানি আয় বাড়লেও লক্ষ্য পূরণের চ্যালেঞ্জ রয়েই গেছে। এরই মধ্যে  পোশাক খাতের কয়েকটি আইটেম থেকে নগদ সহায়তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে পারে সামগ্রিক রপ্তানিতে।

অবশ্য লক্ষ্য পূরণ না হলেও জানুয়ারিতে রপ্তানি আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসায় শ্বস্তিতে আছেন ইপিবির কর্মকর্তারা। তারা জানান, ইউক্রেন যুদ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন সংকট নতুন করে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেও পশ্চিমা  ক্রেতারা অর্ডার কমিয়ে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া বছরের শেষ দিকে মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে শ্রম আন্দোলনের ঘটনা এবং এর ফলে গার্মেন্ট মালিকদের কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও সামগ্রিক রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে আশার কথা জানুয়ারিতে আয় বেড়েছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৫৭২ কোটি মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৫১৩ কোটি মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ে নিট পোশাক, প্লাস্টিক, কাগজ ও কাগজ পণ্য, সিমেন্ট, ইলেকট্রিক পণ্য, চামড়া, ওষুধ, চা, ফলমূলসহ ২০ পণ্য খাতে রপ্তানি বাড়লেও ওভেন পোশাকসহ প্রায় ২১টি খাতে আয় কমে গেছে। এর মধ্যে ওভেন পোশাকে ২ দশমিক ২ শতাংশ, ক্যাপে ২৫ শতাংশ, সিরামিক পণ্য ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ, ফার্নিচার ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ, চিংড়ি মাছ ২২ শতাংশ, বাই সাইকেল ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রকৌশল যন্ত্রাংশ ২১ শতাংশ, পেট্রোলিয়াম বাই প্রোডাক্টস ২২ দশমিক ৫ শতাংশ, টেরি টাওয়েল ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ, হোম টেক্সটাইল ৩৪ শতাংশ, চামড়ার জুতা ২৬ শতাংশ এবং কাঁচা পাটের রপ্তানি আয় কমেছে ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ হারে।

সর্বশেষ খবর