সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা

১০ টুকরা লাশের ঘটনায় মামলা ছয় আসামি কারাগারে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার যুবক মিলন হোসেনকে হত্যার পর ১০ টুকরা করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত ৩১ জানুয়ারি সংঘটিত এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় শনিবার মধ্যরাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন নিহতের মা শেফালি খাতুন।

পুলিশ বলছে, মিলন হত্যাকান্ডে আটক এস কে সজীব, সজল, ইফতি, জহির, ফয়সাল ও লিংকনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামিরা আদালতে অবস্থান করছিলেন। তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, এটি ক্লুলেস মামলা। আমরা হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার এবং জড়িতদের শনাক্ত করেছি। এর মধ্যে ছয়জনকে আটক করে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের কুষ্টিয়া আদালতে উপস্থাপন করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। পলাশ কান্তি বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ মামলার তদন্ত করছি। তদন্তে মিলনের আউটসোর্সিং ব্যবসার টাকা-পয়সার লেনদেন, হত্যায় অভিযুক্ত সজীবের চাঁদা দাবি এবং মিলনের কোনো প্রতারণামূলক কাজের কারণে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, আটকদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে মেয়ে সেজে মিলনের প্রতারণার ঘটনা। টেলিফোনে কণ্ঠ নকল ও ভার্চুয়ালি মেয়ে সেজে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করত মিলনের একটি চক্র। আটকদের একজন সেই তথ্য সজীবকে দিলে চাঁদা দাবি করে তারা। পরে ডেকে এনে মুখে গামছা চেপে ধরে চাঁদার টাকার জন্য চাপ দিতে থাকলে এক পর্যায়ে মারা যান মিলন। এরপর ধারালো জাঁতা ও হ্যাকচো ব্লেড দিয়ে মিলনের দেহ ১০ টুকরা করা হয়। পরে সেগুলো পলিথিনের ব্যাগে ভরে চারটি মোটরসাইকেলে ৯ জন নিয়ে যান হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের পদ্মার চরে। পরে ৩ কিলোমিটার হেঁটে দুর্গম চর কান্তিনগর বোয়াদহ গ্রামের চুয়াপাড়া পদ্মার কিনারা থেকে ৩০০ গজ দক্ষিণে বালুর মধ্যে কয়েকটি গর্তে পুঁতে রাখে।

৩১ জানুয়ারি নিখোঁজ হন মিলন। তিন দিন পর পদ্মার চর থেকে মিলনের ১০ টুকরা উদ্ধার করে পুলিশ। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, নিহত মিলনের মা শেফালি খাতুন আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

সর্বশেষ খবর