শিরোনাম
সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

লোহার খাঁচা থাকা এজলাসের তালিকা চেয়েছেন হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের কতটি এজলাসে লোহার খাঁচা আছে, তার তালিকা চেয়েছেন হাই কোর্ট। ৬০ দিনের মধ্যে আইন সচিবকে প্রতিবেদন আকারে এ তালিকা হাই কোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে রুল জারি করে আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা স্থাপন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং বিদ্যমান লোহার খাঁচা অপসারণ করে কাঠের ডক প্রতিস্থাপন করার পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।গত ২৩ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে এ রিট করেন। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি বলেন, অধঃস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। বর্তমানে প্রায় শতাধিক আদালতে এ ধরনের খাঁচা বিদ্যমান। এর সিংহভাগ ঢাকায় অবস্থিত। তিনি জানান, এ ধরনের খাঁচা ব্যবস্থাপনা সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৫(৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ৩৫(৫) এ বলা আছে কারও সঙ্গে নিষ্ঠুর-অমানবিক আচরণ করা যাবে না। অযথা এ খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর-অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে। রিটকারি ১০ আইনজীবী হলেন- জি এম মুজাহিদুর রহমান, মুহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাজ্জাদ সারোয়ার, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ মিজানুল হক ও আবদুল্লাহ সাদিক।

সর্বশেষ খবর