বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অব্যবস্থাপনা বিশৃঙ্খলার অভিযোগ

প্রবাসী মৈত্রেয়ী দেবীর দুই বই

মোস্তফা মতিহার

অব্যবস্থাপনা বিশৃঙ্খলার অভিযোগ

বিগত বছরগুলোর মতো এবারও পাঠক এবং প্রকাশকদের কাঠগড়া থেকে মুক্ত হতে পারেনি অমর একুশে বইমেলা কর্তৃপক্ষ বাংলা একাডেমি। এখন পর্যন্ত শৌচাগার ব্যবস্থা ঠিক না করা, পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা না রাখা, ধুলা নিরসনে পানি ছিটানো, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা, স্টল ও প্যাভিলিয়নের সামনের চলার পথে ইট বিছানোসহ নানা কাজ অসম্পন্ন রয়ে গেছে। প্রকাশনা সংস্থা ইত্যাদির স্বত্বাধিকারী আদিত্য অন্তর বলেন, এবার কোনো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব না দিয়ে বাংলা একাডেমি নিজেদের মধ্যেই রেখেছে। যার কারণে আমরা ভেবেছিলাম অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের মেলা অনেক গোছানো হবে।

মেলায় কানাডা প্রবাসী মৈত্রেয়ী দেবীর দুটি বই : দোয়েল পাবলিশারের প্রকাশিত কানাডা প্রবাসী মৈত্রেয়ী দেবীর দুটি বই মেলায় এসেছে।

মূল মঞ্চ : বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ : মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জফির সেতু। আলোচনায় অংশ নেন শাহিদা খাতুন এবং সৌমিত্র শেখর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবদুল খালেক।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম পথিকৃৎ মুহম্মদ মনসুর উদ্দীনের জন্ম ও কর্মপরিসর বিশ শতকে। তিরাশি বছরের জীবনে তিনি সংস্কৃতিসাধনায় মগ্ন ছিলেন তেষট্টি বছর। জীবনের এই দীর্ঘ পরিসরে বাংলা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চায় যে অবদান তিনি রেখে গেছেন তা তুলনারহিত। তিনি ছিলেন মূলত লোকসাহিত্য ও লোকসংস্কৃতির সংগ্রাহক, সংরক্ষক, সম্পাদক ও প্রকাশক। এ ছাড়া লোকসাহিত্যের পাঠবিশ্লেষণ, লোককবিদের জীবন অন্বেষণ, লোকসাহিত্যের তাত্ত্বিক বিষয় ও বিভিন্ন ধারার শ্রেণিবিচারসহ নানাবিধ আলোচনার মাধ্যমে বাংলা লোকসাহিত্যের বিশ্লেষণেও মনোযোগী ছিলেন।

আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের লোকসাহিত্যের পরিমণ্ডলে মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন গুরুত্বপূর্ণ এক নাম। আমাদের গ্রামবাংলার লুপ্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তিনি আলোয় তুলে ধরেছেন। বাংলা লোকসাহিত্য-গবেষণায় আধুনিকতা ও আন্তর্জাতিকতার অগ্রপথিক তিনি।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি সাজ্জাদ আরেফিন, ফারহান ইশরাক এবং সৌম্য সালেক। একক আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝর্ণা সরকার এবং মো. কামাল হোসেন। দলীয় আবৃত্তি করে আবৃত্তি সংগঠন ‘উদ্ভাস আবৃত্তি সংগঠন’। এ ছাড়াও ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কাঙাল হরিনাথ সাংস্কৃতিক সংগঠন’-এর পরিবেশনা। একক সংগীত পরিবেশন করেন নারায়ণ চন্দ্র শীল, বিমল বিশ্বাস, সাধিকা সৃজনী তানিয়া, শান্তা সরকার, শ্যামল কুমার পাল, আজমা সুরাইয়া শিল্পী এবং শারমিন সুলতানা।

সর্বশেষ খবর