বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

হাত-পা বেঁধে শিশু হত্যা, দুই নারী আটক

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর পরশুরামে হাত-মুখ-পা বাঁধা অবস্থায় উম্মে সালমা লামিয়া (৭) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে পরশুরাম পৌরসভার পশ্চিম বাঁশপদুয়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত লামিয়া পরশুরাম পৌরসভার কলাবাগান এলাকার নুরুন্নবীর মেয়ে। জানা যায়, মাথায় হেলমেট পরা দুই যুবক লামিয়াকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) পালিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিলে প্রাণে রক্ষা পায়। বর্তমানে নিহতের বড় বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা দুই বোন স্থানীয় একটি নূরানি মাদরাসায় পড়ালেখা করে। তবে ঘটনার সময় নুরুন্নবী তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ফেনী শহরে ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নুরুন্নবীর দুই স্ত্রী আয়েশা আক্তার ও রেহানা আক্তারকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। এলাকাবাসী জানান, দুপুর দেড়টার দিকে হেলমেট পরা দুই যুবক নুরুন্নবীর ভাড়া বাসায় এসে নিজেদের পল্লী বিদ্যুতের লোক পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। ওই সময় শিশুরা দরজা খুলে দিলে দুই যুবক ঘরের ভিতরে ঢুকে লামিয়াকে টেপ দিয়ে হাত-মুখ-পা বেঁধে হত্যা করে। এ সময় লামিয়ার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা পালিয়ে পার্শ্ববর্তী ঘরে আশ্রয় নেয়। ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরশুরাম পৌরসভার কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা নুরুন্নবী কিছুদিন ধরে বাঁশপদুয়ার পশ্চিমপাড়া এয়ার আহাম্মদের বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানাকে নিয়ে ভাড়া থাকছেন। নুরুন্নবীর সাবেক স্ত্রী আয়েশা আক্তার অভিযোগ করেন, নুরুন্নবীর দ্বিতীয় স্ত্রীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে তার (আয়েশার) মেয়ে লামিয়াকে হত্যা করেছে। আয়েশা আক্তার এ ঘটনায় নূরুন্নবীর দ্বিতীয় স্ত্রীকে দায়ী করছেন। পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন খান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

সর্বশেষ খবর