বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাই কোর্ট

সামান্য অর্থের জন্য খুন সাংবাদিক আফতাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। ৫৫ পৃষ্ঠার রায়ের অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল রায়টি বাংলায় প্রকাশ করা হয়।

রায়ে হাই কোর্ট বিভাগ বলেন, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রবীণ ফটোসাংবাদিক ছিলেন আফতাব আহমেদ। যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ও পরে অসংখ্য দুর্লভ ছবি ধারণ করে বিরল সম্মান ‘একুশে পদক’ প্রাপ্ত হয়ে বিরাট মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। সেই ৭৯ বছর বয়সী আফতাব উদ্দিন আহমেদকে সামান্য অর্থের লোভে নৃশংস ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ফলে এ অপরাধীরা কোনোক্রমেই কোনো প্রকার অনুকম্পা, কৃপা পেতে পারেন না বলে উল্লেখ করেন হাই কোর্ট। ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার। পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাই কোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন- বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল ও আফতাব আহমেদের গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা। অন্য আসামি সবুজ খানকে সাত বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। রাজু মুন্সি ও রাসেল পলাতক রয়েছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর রামপুরায় নিজ বাসা থেকে আফতাব আহমেদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হত্যার দায় স্বীকার করে হুমায়ুন কবির, হাবিব হাওলাদার ও বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওই জবানবন্দিতে তারা স্বীকার করেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আফতাব আহমেদের বাসায় ডাকাতি করার সময় তাকে গামছা দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধে তারা হত্যা করেন।

সর্বশেষ খবর