বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

অনলাইন বিনিয়োগ মুনাফা দেখিয়ে কোটি টাকা লুট

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনলাইনে ৩০০ ডলার থেকে ১০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করলেই প্রতিদিন আয় ৬ ডলার থেকে ২০০ ডলার। এ ছাড়া এমএলএম পদ্ধতিতে রেফারেন্স বোনাস মিলবে ৩০ ডলার থেকে ১ হাজার ডলার পর্যন্ত। এমন উচ্চ মুনাফার প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন অনেকে। রাজধানীর মিরপুর থানার এমন একটি মামলার তদন্তে নেমে এই চক্রের চার সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলো- আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. ইমরান শেখ, মো. মাহবুবুর রহমান সাদিক ও শাহনেওয়াজ শরীফ শামীম। গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকার সাভার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি সূত্র জানায়, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত কয়েক মাসে প্রায় ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা প্রতারক চক্রের সদস্যরা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা সাধারণ গ্রাহকদের উচ্চ হারে মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্কিম প্যাকেজে ইনভেস্টমেন্ট করতে প্রলুব্ধ করত। এ ছাড়া একজন বিনিয়োগকারী যদি অন্য কাউকে বিনিয়োগ করাতে পারে তাহলে প্যাকেজ ভেদে বিভিন্ন রকমের কমিশনের প্রলোভন ছিল। প্রতারকরা প্রায় ৬ মাস ধরে সাধারণ মানুষকে অ্যাকাউন্ট তৈরি ও তাতে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ডলার ডিপোজিট করতে সহায়তা করছিল। ডিপোজিট করা টাকা ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হয়ে যেত। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন অবৈধ। ডিবির এডিসি নাজমুল হক জানান, প্রতারণার নতুন কৌশল হিসেবে চক্রটি নতুন একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হ্যাঁচারি প্রজেক্টের কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ টাকা করে বিনিয়োগ গ্রহণ করেছে। তারা এই টাকার বিপরীতে প্রতি মাসে ৮ হাজার করে ২৫ মাসে দ্বিগুণ মুনাফাসহ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। চক্রটি আমেরিকান কোম্পানির নাম ধারণ করে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে এমএলএম স্কিমে বিনিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীরা নির্ধারিত প্যাকেজের আওতায় ডলারের বিপরীতে টাকা বিনিয়োগ করতেন। আর সেই টাকা নিয়ে পলাতক হয়ে যায় চক্রের সদস্যরা।

 

সর্বশেষ খবর