বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

জালিয়াতিতে সহযোগিতার অভিযোগে তিন পুলিশসহ চারজন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতিতে সহযোগিতা চেষ্টার মামলায় রাজশাহী পুলিশের (আরএমপি) তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গতকাল সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এর বিচারক ফয়সাল তারিক মামলার শুনানি শেষে আসামিদের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আরএমপির মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম  জানান, ৩ ফেব্রুয়ারি জালিয়াতিতে সহযোগিতার অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেদিন সন্ধ্যায়ই তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি মেহেদী হাসানকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে সবার রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।

২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করিয়ে দিতে কয়েকজন পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন গ্রেফতারকৃত এ প্রতারক চক্রটি। বিষয়টি জানতে পেরে পরীক্ষার আগেই রাজশাহী পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) প্রথমে আরএমপির দুই পুলিশ সদস্যকে হেফাজতে নেয়। এ সময় কনস্টেবল শাহরিয়ার পারভেজের বাসা থেকে ইলেকট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত ১৬টি গেঞ্জি, ১৩টি চুম্বক দণ্ড, ক্ষুদ্র গোলাকৃতির চুম্বকযুক্ত ২৬টি ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ও ১৫টি সাদা রঙের মোবাইল ফোনের চার্জার জব্দ করে। এসব ডিভাইস ব্যবহার করেই চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীকে বাইরে থেকে সব প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষার পর দিন পাঁচ প্রতারকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী কারিমা খাতুন। তাদের মধ্যে দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম রাব্বানী (৩৩), আরএমপি সদর দফতরের পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রহমান (৩২), শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল (৩১) এবং দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানার পূর্ব দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা মেহেদী হাসানের (৩৭) রিমান্ড হয়েছে। মামলার আসামি মকলেসুর রহমান পলাতক রয়েছেন।

 

 

সর্বশেষ খবর