রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ছোট ও বড়দের মিশেলে উৎসবমুখর বইমেলা

মোস্তফা মতিহার

ছোট ও বড়দের মিশেলে উৎসবমুখর বইমেলা

সাপ্তাহিক ছুটির দিন গতকাল ছিল মেলার চতুর্থ শিশু প্রহর। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশু প্রহরের সিসিমপুরে হালুম, টুকটুকি, শিকু ও ইকরিমিকরির সঙ্গে দুষ্টুমিতে মেতে ওঠে ছোট্ট বন্ধুরা। সিসিমপুরে দুষ্টুমি আর খেলাধুলা শেষে বাবা-মায়ের কাছ থেকে আবদার করা পছন্দের বইটি আদায় করে নিয়েছে খুদে পাঠকরা। সকালের দিকে শিশুদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি, উল্লাস আর উচ্ছ্বাসের পর বিকাল ৫টা থেকে ভিড় বাড়ে মেলা প্রাঙ্গণে। শুধু দর্শনার্থীই নয়, প্রকৃত পাঠকরাও মেলায় এসেছেন। মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হওয়ার সময় সবার হাতে বই মেলাকে এক অনিন্দ্য সুষমা দান করেছে। নিজের ভাতিজি রুবিনা আলমগীরের বই কেনার জন্য মেট্রোরেলে রাজধানীর মিরপুর থেকে মেলায় এসেছিলেন দীন ইসলাম। তিনি বলেন, মেলায় এসে খুবই ভালো লাগছে। তবে ধুলার কারণে মেলায় বেশিক্ষণ থাকা সম্ভব হচ্ছে না। পারিজাত প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী শওকত হোসেন লিটু বলেন, আগামী বছর থেকে মেলা দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি পর্যন্ত আয়োজিত হলে খুবই ভালো হবে। পাশাপাশি মেলার আয়োজন বাংলা একাডেমির পরিবর্তে প্রকাশকদের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি। কথাপ্রকাশের ব্যবস্থাপক শেখ ইউনুস বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, বিক্রির ধারা এভাবে অব্যাহত থাকলে এবারের মেলা অন্যান্য বারের সব সফলতাকে হার মানাবে। গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ১৫২টি।

শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতা : অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১৭৫ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। বিচারক ছিলেন শিল্পী ইয়াকুব আলী খান, চন্দনা মজুমদার ও সুমন মজুমদার।

মূল মঞ্চ : বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : সুচিত্রা মিত্র শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইম রানা। আলোচনায় অংশ নেন আহমেদ শাকিল হাসমী ও অণিমা রায়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মফিদুল হক। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি দিলারা হাফিজ, চঞ্চল আশরাফ ও রনজু রাইম। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী অনিমেষ কর, কাজী বুশরা আহমেদ তিথি, মিজানুর রহমান সজল ও মুস্তাক আহমেদ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুথি পাঠ করেন ফকির আবুল হাশেম। এ ছাড়াও ছিল মিতা মোস্তফার পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘বেণুকা ললিতকলা কেন্দ্র’ এবং মো. আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আরশীনগর বাউল সংঘ’-এর পরিবেশনা।

সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী কিরণ চন্দ্র রায়, তপন মজুমদার, অনাবিল ইহসান, রুশিয়া খানম, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, জামাল দেওয়ান এবং সাগর দেওয়ান।

 

 

সর্বশেষ খবর