রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ভুয়া পরিচয়ে ১৩ বিয়ে, অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

দেশের একটি সরকারি বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ১৩টি বিয়ে করেছেন মইদুল ইসলাম নামে এক যুবক। গ্রামের সাধারণ মুসলিম পরিবার ছিল তার মূল টার্গেট। সরলতার সুযোগ নিয়ে বিয়ে শেষে কিছুদিন সংসার করার পর নানা কৌশলে টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যেতেন। সম্প্রতি এক স্ত্রীর করা মামলায় মইদুলকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে গতকাল দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বিস্তারিত জানান জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা। গ্রেফতার মইদুল মানিকগঞ্জের দৌলতপুর চরকটারি এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে মইদুল ও তারাকান্দা থেকে ঘটক কুদ্দুছ আলীকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারের পর মইদুলের প্রতারণার শিকার ১৩ নারী ছুটে আসেন ডিবি কার্যালয়ে। যার মধ্যে ময়মনসিংহের ছয়জন, মানিকগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের ছয়জন এবং কিশোরগঞ্জের এক নারী রয়েছেন।

জানা গেছে, ১০ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার লালমা এলাকার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে বিয়ে করেন মইদুল। বিয়ের পর তিন দিন স্ত্রীর বাড়িতে অবস্থান করেন। এ সময় আশুলিয়ায় ৮ শতাংশ জমি কিনেছেন এবং কিছু টাকা বাকি আছে বলে জানান। বাকি পরিশোধের কথা বলে শ্বশুরের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা ধার নিয়ে আশুলিয়া হয়ে খুলনায় চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। কিছুদিন পর আরও ২ লাখ টাকা ধার নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। দীর্ঘ ছয় মাস যোগাযোগ না থাকায় ওই ছাত্রী খোঁজ নিতে গেলে মইদুলের আরও কয়েকজন স্ত্রীর সন্ধান পান। পরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় মামলা করেন।

মইদুলের এ প্রতারক চক্র এসব পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকার বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমনকি তার এ প্রতারণার ফাঁদ থেকে প্রতিবন্ধী নারীও রেহাই প্রণনি। মাসিক প্রতিবন্ধী ভাতার সামান্য টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে মইদুল টাঙ্গাইলের এক প্রতিবন্ধী নারীকে বিয়ে করেন বলে জানান এসপি।

 

সর্বশেষ খবর