সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সেলফির হিড়িক ক্রেতা কম

মোস্তফা মতিহার

সেলফির হিড়িক ক্রেতা কম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিস্তীর্ণ প্রান্তরে গতকাল ভিড় ছিল, সেলফি তোলার হিড়িক ছিল, আর ছিল ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য। মাত্রাতিরিক্ত দামের খাবারের দোকানগুলোতেও ছিল দীর্ঘ লাইন। কিন্তু বইয়ের দোকানগুলোতে তেমন ভিড় ছিল না। গতকাল ছিল বইমেলার ১১তম দিন। বিকাল ৩টায় মেলার প্রবেশদ্বার উন্মোচনের পর সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বেশির ভাগ প্রকাশনীর স্টলে তেমন একটা বই বিক্রি হয়নি। কথামেলা প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী আবদুুর রউফ বকুল বলেন, মূল মেলার বাইরে এমন একটি বিচ্ছিন্ন জায়গায় আমাদের ফেলা হয়েছে বলে আমদের এখন পথে বসার অবস্থা। গত তিন দিনে একটি বইও বিক্রি করতে পারিনি। স্টাফদের খাওয়ার টাকাও উঠছে না। তার কথার সূত্র ধরে জোনাকী প্রকাশনীর মঞ্জুর হোসেন বলেন, আমাদের প্রতিদিন যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে সেই টাকাও উঠছে না। সহমত প্রকাশ করেন মুক্তদেশ প্রকাশনীর জাভেদ ইমন। তিনিও বলেন, শুক্র ও শনিবার ছাড়া আমাদের তেমন বিক্রি হয় না। দেশ পাবলিকেশনসের স্বত্বাধিকারী অচিন্ত্য চয়ন বলেন, মেলায় দর্শনার্থীদের আগমন ঘটলেও এখন পর্যন্ত বইপ্রেমীদের প্রবেশ ঘটেনি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকেই মেলার স্থায়ী প্রাঙ্গণ বানানোর দাবি জানান অচিন্ত্য চয়ন। ১১তম দিনে নতুন বই এসেছে ৯২টি।

মূল মঞ্চ : বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : কলিম শরাফী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরওয়ার মুর্শেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মাহমুদ সেলিম এবং গোলাম কুদ্দুছ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রূপা চক্রবর্তী।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি আসলাম সানী, তপন বাগচী, মারুফ রায়হান, জাহিদ মুস্তাফা, স্নিগ্ধা বাউল এবং শাহিদা পারভীন রেখা। আবৃত্তি করেন সোহরাব হোসেন, তামান্না তিথি এবং ফয়জুল আলম পাপ্পু। পুথি পাঠ করেন লাল মাহমুদ। আরও অংশ নেয় আবৃত্তি সংগঠন ‘মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র’, ‘বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’ এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কৃষ্টিবন্ধন’। একক সংগীত পরিবেশন করেন আলম দেওয়ান, আজগর আলীম, পাগলা বাবলু, আজমল শাহ, শিলা দেবী এবং ফারজানা আফরিন ইভা।

সর্বশেষ খবর