সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পিঁয়াজের বাজারে ফের অস্থিরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরবরাহ ঘাটতির অজুহাতে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পিঁয়াজের দাম। গত তিন দিনের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুড়িকাটা পিঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি পিঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে পাবনা ও রাজশাহীর মুড়িকাটা পিঁয়াজ প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত মঙ্গলবার এই বাজারেই বিক্রি হয়েছিল ৯০ টাকা কেজি। ফরিদপুরের মুড়িকাটা পিঁয়াজ বর্তমানে পাইকারি বাজারে ১০৮ টাকা কেজি। তিন দিন আগেও ছিল ৯০ টাকা। মেহেরপুরের পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, তিন দিন আগেও ছিল ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। এ ছাড়া চীনের পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে। তিন দিন আগে ছিল ৮০ টাকা। খুচরা বাজারে বর্তমানে মুড়িকাটা পিঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা চার-পাঁচ দিন আগে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে ভারতীয় পিঁয়াজের আমদানি বন্ধ রয়েছে। অবৈধভাবে কিছু ভারতীয় পিঁয়াজ দেশে এলেও চাহিদার বেশির ভাগই পূরণ হচ্ছে দেশি পিঁয়াজ দিয়ে। তবে বর্তমানে বাজারে থাকা মুড়িকাটা পিঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় সরবরাহে ঘটতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে তিন দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে অনেকখানি। ভারত পিঁয়াজ রপ্তানি শুরু করবে এমন খবরে গতকাল সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, দামও কিছুটা কমেছে। তবে ভারতীয় পিঁয়াজ যদি না আসে, তাহলে সামনের দাম আবার বাড়বে।

পিঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারে পাইকারি পিঁয়াজ বিক্রেতা মো. শরিফুদ্দিন বলেন, মুড়িকাটা পিঁয়াজের মৌসুম শেষ। গত কদিন বাজারে পিঁয়াজই ছিল না। এর কারণে দাম বাড়ছে। আজকে আবার পিঁয়াজ এসেছে, দাম কিছুটা কমেছে। এর মধ্যে ভারতীয় পিঁয়াজ দেশে এলে দাম কমতে পারে। হানিফ নামের এক ক্রেতা বলেন, সরকার যথাযথভাবে বাজার মনিটরিং করতে পারছে না। বাজারে পিঁয়াজের সংকট মোটেও নেই। বরং মজুত করে বাজার অস্থিতিশীল করছেন ব্যবসায়ীরা।

 

সর্বশেষ খবর