মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

উপজেলা ভোট নিয়ে ব্যস্ত ইসি

রিটার্নিং অফিসার হচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন অফিসার

গোলাম রাব্বানী

উপজেলা ভোট নিয়ে ব্যস্ত ইসি

উপজেলা পরিষদের ভোট আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবারের নির্বাচনে কত উপজেলায় ব্যালট ও কত উপজেলায় ইভিএমে ভোট হবে তা নিয়ে এখন কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি ইসি। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের নানা ধরনের মতামত এসেছে বৈঠকে। তবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রশাসন ও ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিলে, সেক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসি। তবে জেলা নির্বাচন অফিসারকে যদি রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের কথা বলেছে ইসি। সম্প্রতি ইসির আনুষ্ঠানিক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনের মালামাল ক্রয়ের সময় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মালামালও কেনাকাটা শেষ করেছে ইসি। প্রস্তুত রয়েছে ব্যালট পেপার ছাপানোর কাগজও। এদিকে এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে রোজার শেষ দিকে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। প্রথম ধাপ শুরু হবে আগামী ৪ মে। এরপর ১১ মে দ্বিতীয়, ১৮ মে তৃতীয় ও ২৫ মে চতুর্থ ধাপে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে। নির্বাচন কমিশনের ২৭তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত আসে। ইসি সূত্র জানিয়েছে, ইসির হাতে এখন দেড় লাখ ইভিএম আছে। এর মধ্যে অনেক অকেজো। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬০-৭০ আসনে ব্যবহারের জন্য ইভিএমগুলো প্রস্তুত করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হয়নি। তাই আসন্ন দুই সিটি এবং উপজেলা নির্বাচনে এসব ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন। এজন্য কিউসি করবে কমিশন। এরপর কতগুলো ইভিএম ব্যবহার উপযোগী সেই অনুযায়ী কোন ধাপে কত উপজেলায় ইভিএম ব্যবহার হবে সেই সংখ্যা নির্ধারণ করবে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। দেশে ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ১০ মার্চ। পাঁচ ধাপের ওই ভোট শেষ হয় জুন মাসে। আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শুরু হয় প্রথম সভার দিন থেকে। পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচিত পরিষদ দায়িত্ব পালন করে। মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা এবং মার্চে রোজার কথা চিন্তা করে একেবারে ঈদের পর উপজেলা পরিষদ ভোট করার পরিকল্পনার কথা এর আগে বলেছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। সেক্ষেত্রে রোজার শেষ দিকে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে গত ২৩ জানুয়ারি জানিয়েছিলেন তিনি।

দলীয় প্রতীক : ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন সংশোধন করে দলীয় প্রতীকে ভোটের বিষয়টি যুক্ত করা হয়। আর ২০১৭ সালের মার্চে প্রথমবার তিন উপজেলায় দলীয় প্রতীকে ভোট হয়। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদ বাদে বাকি দুটি পদ উন্মুক্ত রাখে। এবার উপজেলায় নৌকা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

সর্বশেষ খবর