মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বানর

মাদারীপুর প্রতিনিধি

খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বানর

খাবার সংকটে মাদারীপুরে বেড়েছে বানরের উৎপাত। সুযোগ পেলেই বাসাবাড়িতে ঢুকে রান্না করা খাবার এবং কাঁচা সবজি ও ফলমূল নিয়ে যাচ্ছে। এক সময় বনজঙ্গলের ফলফলাদি খেয়েই বেঁচে থাকত বানরগুলো। বর্তমানে বনজঙ্গল কেটে ফেলায় দেখা দিয়েছে বানরের খাবার সংকট। খাবার না পেয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় এ প্রাণীগুলো হুমকির মধ্যে পড়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদারীপুরের পুরানবাজার, পাঁচখোলা, রাস্তি, নতুন শহর, নয়াচর ও চরমুগরিয়ায় খাবারের সন্ধানে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করছে বানর। কখনো ফল গাছে, কখনো বা ঘরের চালে কিংবা বহুতল ভবনের ছাদে। সকাল থেকে বিকাল, এভাবেই দল বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে বানর দল। প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে বাসাবাড়িতেও হানা দিচ্ছে তারা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মাদারীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার রুহানি আক্তার নামে ৬ বছরের শিশুকে বানরে অতর্কিত কামড়িয়ে পায়ের মাংস ছিঁড়ে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে রুহানির মা কুমকুম বেগম বলেন, আমার বাচ্চা এখন একা ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। বানরের ভয়ে খেলতে ও স্কুলে যেতে চায় না। স্থানীয়রা জানান, সরকারিভাবে বানরের জন্য খাবার বরাদ্দ থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এক সময় বানরের অভয়ারণ্য হিসেবে চরমুগরিয়া এলাকা পরিচিত ছিল।

একদিকে খাদ্য সংকট, অন্যদিকে ঘনবসতির কারণে বানরের সংখ্যা কমে গেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এ প্রাণীকে টিকিয়ে রাখার আহ্বান জানান এলাকাবাসী। চরমুগরিয়ার দেলোয়ার হোসেন বলেন, বানর সারাক্ষণ উৎপাত করে। প্রতিনিয়তই বাসাবাড়ি ও দোকানে খাবারের জন্য হানা দেয়। এ ছাড়া গাছের ফল, সবজি খেয়ে ফেলে এবং নষ্ট করে। মাদারীপুর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, বরাদ্দ কম থাকায় বিভিন্ন স্পটে মাসে ১২ দিন খাবার দেওয়া হচ্ছে। মাদারীপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ৮ হাজার বানর থাকলেও বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজারে। চলতি অর্থবছরে বানরের জন্য ২৭ লাখ টাকা খাবারে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, কী কারণে বানরের সংখ্যা কমে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে।

সর্বশেষ খবর