খুলনার পাইকগাছায় চোখে-মুখে আঠা জাতীয় পদার্থ ‘গ্লু’ লাগিয়ে গৃহবধূকে (৪৫) ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় এই মামলা করেন। এজাহারে ধর্ষণের পাশাপাশি ঘরের মালামাল চুরির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়।

এদিকে গতকাল ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই এলাকার আ. সামাদ (৫০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমান বলেন, স্পর্শকাতর এই মামলাটি বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সময় কাছাকাছি অবস্থানে থাকা সামাদ নামের একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগ রয়েছে। গত রবিবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা বাড়ির সিঁড়ি ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ঘরের মালামাল লুট করে। সোমবার সকালে হাত-পা বাঁধা ও চোখে-মুখে গ্লু লাগানো অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সময় পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-২-এর সহকারী রেজিস্ট্রার কনক হোসেন বলেন, তার চোখের পাতা ও দুই ঠোঁট আঠা জাতীয় পদার্থ দিয়ে লাগানো ছিল, সেটি সরিয়ে এখন স্বাভাবিক চিকিৎসা চলছে। চোখে দেখতেও তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ এবং ডাকাতি করেছে। তার কানে থাকা সোনার দুল ছিঁড়ে নিয়ে গেছে। শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়েছে। আমি অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’