শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রথম দিনে অনুপস্থিত ১৯ হাজার ৩৫৯ পরীক্ষার্থী

এসএসসি পরীক্ষা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথম দিনে অনুপস্থিত ১৯ হাজার ৩৫৯ পরীক্ষার্থী

এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে গতকাল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সারা দেশে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল পরীক্ষার প্রথম দিনে নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট অনুপস্থিত ছিল ১৯ হাজার ৩৫৯ জন পরীক্ষার্থী। অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কৃত হয়েছে ২৪ জন পরীক্ষার্থী। কক্ষ পরিদর্শক বহিষ্কার হয়েছেন একজন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিল ৯ হাজার ৭৩১ পরীক্ষার্থী। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ১ হাজার ৯৬৮ জন ও মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে ৭ হাজার ৬৬০ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বরিশাল বোর্ডে দুজন, ময়মনসিংহ বোর্ডে চারজন, কারিগরি বোর্ডে ১১ জন, মাদরাসা বোর্ডে সাতজন রয়েছেন। কুমিল্লা বোর্ডে একজন কক্ষ পরিদর্শক বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে গতকাল সকালে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়নে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে সন্তান জিপি-৫ পেলেও কাক্সিক্ষত যোগ্যতা অর্জন করতে পারছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যেত না। কিন্তু নতুন কারিকুলামে নৈপুণ্য অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তাই অভিভাবকরা যে কোনো সময় সন্তানের অগ্রগতি ও দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। মহিবুল হাসান বলেন, অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমায় এবার এসএসসিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। কেন্দ্রের আশপাশে অভিভাবকদের ভিড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে আমরা পরিদর্শনে যাইনি। নিজের সন্তানের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে এই জড়ো হওয়া থেকে অভিভাবকদেরও বিরত থাকতে হবে। যানজট এড়াতে পরীক্ষার সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, নতুন কারিকুলামে হয়তো পরীক্ষার সময় পেছানোর সুযোগ থাকবে। মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে যদি সেখানে কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকে তবে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারব। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড তাদের জন্য সে ব্যবস্থা করবে।

সর্বশেষ খবর