শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রাণ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষা

মোস্তফা মতিহার

প্রাণ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষা

ভালোবাসা দিবস, বসন্তের উচ্ছ্বাস ও উপচে পড়া ভিড় শেষে গতকাল কিছুটা ভাটা ছিল অমর একুশে বইমেলায়। দর্শনার্থী ও বইপ্রেমীদের ঢেউয়ের গতি মন্থর হলেও একেবারে থেমে যায়নি। বিশেষ দিবসের পরে ভিড় কিছুটা কমে এটাই স্বাভাবিক। আর প্রকাশকরাও সেটা আগেই অনুমান করেছিলেন। তবে আজ মেলা ফিরে পাবে প্রাণ।

শুক্রবার ছুটির দিনের মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায়। ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত মেলার পঞ্চম শিশুপ্রহর। ছুটির দিনের মেলায় সব শ্রেণির পাঠকের ঢল নামবে। সকাল থেকে শিশুপ্রহরের সিসিমপুরে থাকবে সোনামণিদের কলরব আর দুরন্তপনা। গতকাল বিকালে মেলাপ্রাঙ্গণে কথা হয় রাজধানীর উত্তরা থেকে মেট্রোরেলে আগত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহমেদ মিরাজের সঙ্গে? তিনি বলেন, ‘খুব খুশিমন নিয়ে মেলায় এলাম। কিন্তু এসে পরিবেশ দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল। এত অগোছালো বইমেলা এর আগে কখনো দেখিনি। ধুলোর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম। এ ছাড়া স্টল খুঁজে পাচ্ছি না। স্টল খুঁজে পাওয়ার জন্য অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। পুরো মেলাকেই এলোমেলা মনে হয়েছে।’ ঐতিহ্য প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল বলেন, ‘ভালোবাসা দিবসের তুলনায় ভিড় একটু কমলেও বিক্রিতে এর প্রভাব পড়েনি।’ গতকাল নতুন বই এসেছে ৯৭টি।

মূল মঞ্চ : বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত আবদুল হালিম বয়াতি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জোবায়ের আবদুল্লাহ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মো. নিশানে হালিম। সভাপতিত্ব করেন সাইদুর রহমান বয়াতি।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের লোকসংগীতাঙ্গনে যেসব সাধক-ব্যক্তিত্ব নতুন ধারা প্রবর্তনে প্রবর্তকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন মরমি সংগীতসাধক আবদুল হালিম বয়াতি তাঁদের অগ্রগণ্য। সংগীত সৃষ্টি, সুরারোপ ও পরিবেশনার মাধ্যমে তিনি এ দেশের শহর ও গ্রামাঞ্চলে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় তার বিচরণ অতি সামান্য হলেও সংগীতসাধনায় ছিলেন নিরলস ও উদ্যমী। প্রকৃতিদত্ত প্রতিভা এবং বৈচিত্র্যময় গ্রন্থপাঠের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানালোকে তিনি নিজেকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন, তেমন অর্জিত অভিজ্ঞতা ও অভিজ্ঞান গীত-গানের মাধ্যমে শৈল্পিক সাবলীলতায় উপস্থাপন করে অর্জন করেছেন জননন্দিত শিল্পীর স্বীকৃতি।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু, মিহির মুসাকী, শফিক সেলিম, খোকন মাহমুদ ও ইমরুল ইউসুফ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী এ বি এম রাশেদুল হাসান, শিরিন জাহান ও তালুকদার মো. যোবায়ের আহম্মেদ টিপু। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে সুবর্ণা আফরিনের পরিচালনায় ‘কিংবদন্তি আবৃত্তি পরিষদ’ ও মো. রহমতুল্লাহর পরিচালনায় ‘কথাশৈলী আবৃত্তি চক্র’। পুথিপাঠ করেন এথেন্স শাওন। এ ছাড়া ছিল প্রণয় সাহার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী বাবু সরকার, কোহিনুর আক্তার গোলাপী, মেহেরুন আশরাফ, অঞ্জলি চৌধুরী, গঞ্জের আলী জীবন, সুমন চন্দ্র দাস ও বিজনকান্তি রায়।

 

সর্বশেষ খবর