শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চবি ফের রণক্ষেত্র

চবি প্রতিনিধি

চবি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিএফসি ও সিক্সটি নাইন গতকাল দিনভর প্রস্তুতি শেষে সন্ধ্যা ৭টা থেকে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এ সময় সিক্সটি নাইনের নেতা-কর্মীরা শাহজালাল ও সিএফসির নেতারা শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নিয়ে একে অন্যকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট পাটকেল, কাচের বোতল নিক্ষেপ করেছেন। এ সময় দুই গ্রুপের অনুসারী নেতা-কর্মীদের দেশি অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন গুরুতর আহত কর্মীকে চমেকে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও প্রক্টরের সামনেই ৫ ঘণ্টা ধরে এ সংঘর্ষ চলেছে। এক পর্যায়ে সহকারী প্রক্টর রোকন উদ্দিন বলেন, ‘দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে আমাদের। হার্ড লাইনে যাওয়া ছাড়া মনে হচ্ছে উপায় নেই।’ যদিও বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের ফোর্স ঘটনাস্থলে আছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা ছাড়া আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না।’

জানা গেছে, সংঘর্ষের নেপথ্যে ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তারের রাজনীতি ছাড়াও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চাপে রাখার মতো এজেন্ডা। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করে প্রশাসনকে চাপে রাখাই এসব সংঘর্ষের মূল লক্ষ্য। প্রশাসন থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করার হাতিয়ারও এসব সংঘর্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমাদের কাছে অতিরিক্ত পুলিশ     নেই। আমরা ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করছি। র‌্যাব মোতায়েন করার জন্য আমরা জোর চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। পুলিশকে টিআর শেল নিক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। তবে ছাত্ররা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় পুলিশ টিআর শেল নিক্ষেপে রাজি হয়নি।’

 

সর্বশেষ খবর