রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

রমজানের আগেই বেড়েছে দাম

ছোলা ডাল বেসন খেজুরে স্বস্তি নেই, নিত্যপণ্যও চড়া

রাশেদ হোসাইন

রমজানের আগেই বেড়েছে দাম

পবিত্র রমজান শুরু হতে এখনো প্রায় এক মাস বাকি। রমজানের আগে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে চাল, চিনি, তেলসহ কিছু পণ্যের শুল্ক-কর কমিয়েছে সরকার। কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রভাব তো পড়েইনি বরং আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। রমজানকে টার্গেট করে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে অসাধু সিন্ডিকেট।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুল্ক কমানোর পরও খুচরা পর্যায়ে ভোগ্যপণ্যগুলোর দাম কমেনি। রমজানের সময়ের চাহিদাসম্পন্ন নিত্যপণ্য ছোলা, ডাল, বেসন, খেজুরসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। গত এক মাসে ছোলার দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোলার দাম ১৫ টাকা বেড়ে কমেছে ৫ টাকা। মাসখানেক আগেও প্রতি কেজি ছোলার দাম ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। খুচরায় খেসারির ডাল প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগেও ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি। ডালের দাম বাড়ায় বেড়েছে বেসনের দাম। এক মাসের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মুগ ডালের। পণ্যটির দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা দাম বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশে বর্তমানে রেকর্ড দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৪৫ ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লালচিনি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে জাতভেদে সব ধরনের খেজুরের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। দাবাস ও তিউনিসিয়ান জাতের মতো সাধারণ মানের খেজুরের কেজি এখন ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আজোয়া খেজুর মানভেদে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজি দরে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গতকাল মুগ ডালের গতকালের দাম ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা। এক বছর আগে তা ছিল ৯৫ টাকা। চিনির গতকালের দাম ১৪০ টাকা বিক্রি হয়েছে। এক বছর আগে চিনি ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। সাধারণ মানের খেঁজুর প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এক বছর আগে তা ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা বিক্রি হতো। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, রমজানে যেহেতু সরকারের তৎপরতা বেশি থাকে তাই এবার অসাধু ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যেই রমজানকে টার্গেট করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। ডাল, ছোলা পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি করা হয়েছে। এগুলোর দাম বাড়ার কথা না। তারপরও সিন্ডিকেটের কারণে এসবের দাম বাড়ছে। এবার তারা আগ থেকেই দাম বৃদ্ধি করল। বাজরের সিন্ডিকেট কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তাই বিভিন্ন সংস্থার উচিত এখন থেকেই রমজানের বাজার তদারকি করা। তদারকিগুলো ঠিকমতো করা হয় না, দুই দিন করে এরপর বন্ধ হয়ে যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর