শিরোনাম
সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সৈকতে ভেসে এলো তিনটি মৃত কচ্ছপ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সৈকতে ভেসে এলো তিনটি মৃত কচ্ছপ

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনার পাড়া সৈকতে একটি ও রেজুখালের মোহনায় একটি মৃত কচ্ছপ ভেসে আসে। গতকাল কক্সবাজার- টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনার পাড়া সৈকতে একটি ও পাশের রেজুখালের মোহনায় একটি মৃত কচ্ছপ দেখেন পর্যটকরা। অলিভ       রিডলি বা জলপাই রঙের এসব সামুদ্রিক কচ্ছপ ডিম পাড়তে সৈকতের বালিয়াড়িতে আসার পথে মারা পড়েছে বলে মনে করছেন সমুদ্রবিজ্ঞানীরা।

 এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় সোনারপাড়া সৈকতে ভেসে এসেছিল আরও একটি মা কচ্ছপ। এ নিয়ে চার দিনে ভেসে এলো ৯টি মা কচ্ছপ। সব কচ্ছপের পেটে ডিম ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 তিনি বলেন, অন্তত ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে কচ্ছপগুলো মারা পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ডিম পাড়তে আসা কচ্ছপ উদ্ধারের ঘটনা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সামুদ্রিক কচ্ছপের প্রজনন মৌসুম জানিয়ে তরিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে- জেলেদের জালে বা অন্য কোনোভাবে আঘাত পেয়ে কচ্ছপগুলো মারা পড়ছে।’ বোরির এ জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলেন, গতকাল আসা দুটি কচ্ছপের পেটে ২১৫টি ডিম পাওয়া গেছে।  তরিকুল ইসলাম জানান, দুটি কচ্ছপের পেছনের দুটি এবং সামনের একটি ফ্লিপার বা সাঁতার কাটানো পাকনা ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। আগে পাওয়া কচ্ছপগুলোর শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার ইনানী ও হিমছড়ি সৈকতে তিনটি ডলফিন এবং সুগন্ধা পয়েন্টে একটি বিপন্ন স্তন্যপায়ী  পরপইসের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কয়েক দিন ধরে ভেসে আসা মৃত সামুদ্রিক প্রাণীগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ। 

তিনি বলেন, বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বোরির দেওয়া তথ্য মতে, জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের সোনাদিয়া, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী ও টেকনাফ সৈকতে অন্তত ২৮টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর