মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

এসএসসি পরীক্ষার্থী ও তার মাকে কুপিয়ে হত্যা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও এসএসসি পরীক্ষার্থী ভাতিজিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হারুন মিনাসহ (৬০) তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। অপর দুই আসামি হলেন হারুনের স্ত্রী দুলু বেগম (৫৫) ও মেয়ে ময়না খানম (১৮)। রবিবার গভীর রাতে জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা গ্রাম থেকে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ আসামি হারুন মিনাকে আটক করে। গতকাল সোমবার গোপালগঞ্জ সদর থানায় হত্যার শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থীর বাবা টুকু মিনা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে দুলাভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিল টুকু মিনার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী লামিয়া (১৬)। এ সময় বড় চাচা হারুন মিনা ভাতিজি লামিয়াকে সরে গিয়ে কথা বলতে বলেন। তবে লামিয়া না সরায় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বড় চাচা হারুন মিনা ও তার স্ত্রী এবং মেয়ে মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লামিয়া ও তার মা বিউটি বেগম (৩৮), বোন অন্তরাকে (১২) কুপিয়ে আহত করে। এতে ঘটনাস্থলেই লামিয়ার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা আহত লামিয়ার মা বিউটি বেগম ও বোন অন্তরাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিউটি বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্তরাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সোমবার দুপুরে লাশ দুটি পরিবারের সদস্যদের হাতে হস্তান্তর করে পুলিশ।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, হত্যার পরপরই পালিয়ে    যান প্রধান অভিযুক্ত হারুন মিনা। কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা এলাকায় মধুমতি নদী পার হয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে মা-মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। দায়ের করা মামলায় হারুন মিনাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর