বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সরকার গঠন নিয়ে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি পাকিস্তানে

প্রতিদিন ডেস্ক

পাকিস্তানে সরকার গঠন প্রশ্নে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) মধ্যে গতকালের বৈঠকেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। জল্পনা শুরু হয়েছে, ২৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরুর আগে সাংবিধানিক সময়সীমা পর্যন্ত দুই দলের মধ্যে আলোচনা ও দর-কষাকষি চলতে থাকতে পারে। খবর, ডন।

দুই দলের সূত্র বলছে, পিপিপির অনীহার কারণে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা দীর্ঘায়িত হতে পারে। সরকারে যোগ দিতে নিজ দলের ভেতরসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে পিপিপি বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি ৯৩ আসনে জয়ী হয়। এ ছাড়া নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ৭৫ ও বিলাওয়ালের পিপিপি জয়ী হয়েছে ৫৪ আসনে। বাকি আসনে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে কোনো দলই সরকার গঠনের মতো প্রয়োজনীয় ১৬৯ আসন পায়নি। পিটিআই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা সরকার গঠন করতে পিএমএল-এন বা পিপিপির সঙ্গে জোট করবে না।

পিপিপির নেতা কামার জামান কায়রা একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে বলেন, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসতে এখনো ৮ থেকে ৯ দিন বাকি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হবে ২ বা ৩ মার্চ। সুতরাং যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে এখনো দুই পক্ষের কাছে যথেষ্ট সময় রয়েছে। কায়রা বলেন, পিপিপি কেন্দ্রীয় সরকারে যোগ দেবে, কোনো বৈঠকেই এমন কোনো আলোচ্যসূচি ছিল না। পিপিপি এখনো এ সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে, কোনো মন্ত্রণালয়ের জন্য তারা পিএমএল-এনকে বলবে না। কায়রা আরও বলেন, ‘আমরা কেবল আমাদের অভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে বসেছি, যাতে ভবিষ্যৎ সরকার গঠন ও এর কাজে কোনো ধরনের অচলাবস্থা তৈরি না হয়।’

আসিফ আলী জারদারি প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হচ্ছেন কি না এবং পিএমএল-এনও একই পদে প্রার্থী দিচ্ছে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে কায়রা বলেন, জোটে সাধারণত একদল আরেক দলের বিপক্ষে প্রার্থী দেয় না।

কেউ যদি তাদের বর্তমান অবস্থান পরিবর্তনে প্রস্তুত না হয় তাহলে নতুন সরকার গঠনে অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে। পাকিস্তানের সরকার গঠন নিয়ে এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। খবর ডন ডট কম। গতকাল পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের বিলাওয়াল বলেন, তিনি ও পিপিপি তাদের অবস্থানে অনড়। কোনোভাবেই তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবেন না।

তিনি বলেন, ‘অন্য কেউ যদি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে চায় তবে অগ্রগতি হতে পারে। যদি তারা পরিবর্তন করতে প্রস্তুত না হয়, তাহলে আমি অচলাবস্থার পূর্বাভাস দিচ্ছি।’ বিলাওয়াল বলেন, এটি গণতন্ত্র বা সংসদীয় ব্যবস্থার জন্য উপকারী হবে না। আমি যদি পিএমএল-এনকে ভোট দিতে চাই, তবে আমার শর্ত আমাকেই দিতে হবে, তাদের নয়।’

তুচ্ছ কারণে সরকার গঠন দেরি হচ্ছে উল্লেখ করে বিলাওয়াল বলেন, এটি পাকিস্তানের গণতন্ত্রের ক্ষতি করছে। যত দ্রুত এর সমাধান করা হবে, স্থিতিশীলতা ও নতুন সরকারের জন্য ততই ভালো হবে।

 

সর্বশেষ খবর