বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
কক্সবাজারে ঠাঁই নেই

লাগেজ নিয়ে দাঁড়িয়ে পর্যটক সমুদ্রতীরে

কক্সবাজার প্রতিনিধি

লাগেজ নিয়ে দাঁড়িয়ে পর্যটক সমুদ্রতীরে

একুশে ফেব্রুয়ারির ছুটিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। পর্যটকরা মেতেছেন বালিয়াড়ি ও নোনাজলে। তবে অনেকেই হোটেলে রুম না পেয়ে লাগেজ নিয়ে বালিয়াড়ির কিটকটে অবস্থান করছেন। তারা বলছেন, রুম না পেয়ে কক্সবাজার ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন কেউ কেউ।

পর্যটনসেবায় নিয়োজিতরা বলছেন, একুশে ফেব্রুয়ারির সরকারি ছুটি আর বৃহস্পতিবার এক দিন ছুটি নিলে সাপ্তাহিক ছুটিসহ দাঁড়ায় টানা চার দিনের ছুটি। এ ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে।

বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, বালিয়াড়িতে হাজারো পর্যটকের ভিড়। বালিয়াড়ির সামনে নীল জলরাশিতেও মানুষের ভিড়। যেন তিলধারণের ঠাঁই নেই। সবাই মেতেছেন বাঁধভাঙা আনন্দ-উল্লাসে। ঢাকা থেকে আসা এনামুল কবির বলেন, এত মানুষ কক্সবাজার সৈকতে আর দেখিনি। বালিয়াড়িতে যেমন মানুষ, ঠিক তেমনি নোনাজলেও মানুষের ভিড়।

হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য মতে, ছুটি মানেই কক্সবাজারে বাড়তি মানুষের চাপ। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট এখন পর্যটকে ঠাঁসা। অনেকেই রুম না পেয়ে লাগেজ বা ব্যাগ নিয়ে সৈকতের বালিয়াড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। তারা বলছেন, রুম না পেয়ে কক্সবাজার ছাড়তে হচ্ছে তাদের। কক্ষ না পেয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার চিন্তার কথা জানিয়ে দাউদকান্দি থেকে আসা মহসীন মোল্লা বলেন, সকালে কক্সবাজার পৌঁছানোর পর অনেক হোটেলে গিয়েছি, কিন্তু কোথাও রুম পাইনি। শেষমেশ সৈকতের বালিয়াড়িতে লাগেজ ও ব্যাগ নিয়ে বসে আছি। যদি কোনো রুম পাই আজকে থেকে যাব। তা না হলে রাতের গাড়িতে ফিরে যাব। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের অধিনায়ক আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ তৎপর আছে। পর্যটক হয়রানির অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সর্বশেষ খবর