বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

উপজেলা নির্বাচনে হিজড়া পরিচয়ে প্রার্থিতার সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হিজড়া পরিচয়ে ভোট করার বিধান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমন বিধান যুক্ত করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা সংশোধন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে এমন বিধান আনে ইসি।

স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটার সমর্থনের তালিকা দাখিলের বিধান বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করারও বিধান হয়েছে। এ ছাড়া চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে জামানত ১ লাখ, ভাইস চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার এবং নারী সদস্যের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। সমভোটের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে ফল নির্ধারণ, প্রদত্ত ভোটের শতকরা ১৫ ভাগ অপেক্ষা কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত, চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচনি ব্যয় ২৫ লাখ টাকা এবং নারী সদস্যদের ১ লাখ টাকা করা, মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ হিসেবে হিজড়াদের অন্তর্ভুক্ত করা, নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোট গ্রহণে কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া, মনিটরিং কমিটি গঠনের ও নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত হওয়ায় প্রতীক অন্তর্ভুক্তি বা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালায় যেসব সংশোধনের প্রস্তাব : স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনযুক্ত তালিকা দাখিলের বিধান বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে জামানত ১ লাখ, ভাইস চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার এবং মহিলা সদস্যের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, দুটি (সাধারণ ও সংরক্ষিত) ভাইস চেয়ারম্যান পদ রয়েছে। পাশাপাশি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য একটি পদও রয়েছে, যারা পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। সমভোটের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রদত্ত ভোটের শতকরা ১৫ ভাগ অপেক্ষা কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্তের প্রস্তাব করা হয়েছে। চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচনি ব্যয় ২৫ লাখ এবং মহিলা সদস্যদের ১ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ হিসেবে হিজড়াদের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ আচরণবিধিমালায় যেসব সংশোধন প্রস্তাব : পোস্টার, ব্যানার সাদা-কালো অথবা রঙিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের আগে জনসংযোগ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারণার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাঁচজনের অধিক কর্মী বা সমর্থককে নিয়ে জনসংযোগ করা যাবে না। প্রতি ইউনিয়নে একটি এবং পৌরসভার প্রতি তিনটি ওয়ার্ডে একটির বেশি নির্বাচনি ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করা যাবে না। নির্বাচনি ক্যাম্প বা অফিসের আয়তন ৬০০ বর্গফুটের বেশি হতে পারবে না। নির্বাচনি প্রচারণায় একটির বেশি শব্দযন্ত্র (হর্ন) বা জনসভায় চারটির বেশি শব্দযন্ত্র (হর্ন) ব্যবহার করা যাবে না। শব্দ বর্ধনকারী যন্ত্রের শব্দের মান মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের অতিরিক্ত হতে পারবে না। প্রচারণায় পোস্টার বা ব্যানারে পলিথিনের ব্যবহার না করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর