শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
উপজেলায় কঠিন লড়াইয়ের প্রস্তুতি

আওয়ামী লীগ-জাপায় প্রার্থীর ছড়াছড়ি, বিএনপির না

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

আওয়ামী লীগ-জাপায় প্রার্থীর ছড়াছড়ি, বিএনপির না

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন রংপুর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা। তবে বিএনপি নেতারা সাফ বলে দিয়েছেন এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না। এবার দলীয় প্রতীক না থাকলেও রংপুরের আট উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচার চালাচ্ছেন। বিগত উপজেলা নির্বাচনে পীরগাছা উপজেলা শুধু জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। বাকি সাত উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ঘাঁটি বলে পরিচিত রংপুরে দলটির ভরাডুবি হয়। তারা ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটিতে জিতেছে। একাধিক আসনে জামানত হারিয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে জাপা নেতাদের মধ্যে আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। তাঁরা আগাম প্রচার চালাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে ভোট করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এ নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

জানা গেছে, গঙ্গাচড়ায় আওয়ামী লীগের রুহল আমীন, কাউনিয়ায় আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, বদরগঞ্জে ফজলে রাব্বি, তারাগঞ্জে আনিসুর রহমান লিটন, পীরগঞ্জে নুর মোহাম্মদ মণ্ডল, সদরে নাসিমা জামান ববি, মিঠাপুকুরে জাকির হোসেন সরকার ও পীরগাছায় জাতীয় পার্টির মাহবুবার রহমান উপজেলা চেয়ারম্যান। এর মধ্যে জাকির হোসেন সরকার উপজেলা থেকে পদত্যাগ করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, যাঁরা আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান রয়েছেন এবার তাঁদের থাকার সম্ভাবনা বেশি। তবে দু-একটিতে পরিবর্তন আসতে পারে। এদিকে মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন করে প্রচারে রয়েছেন। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক যাঁদের নাম আলোচনায় এসেছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা ও প্রবীণ নেতা মফিজার রহমান রাজু, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চন্দনপাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট ফিরোজ কবির চৌধুরী গুঞ্জন। রংপুরের আট উপজেলায় আওয়ামী লীগের কমপক্ষে ৩০ প্রার্থী প্রচার চালাচ্ছেন। এদিকে জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা গেছে, তারা প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাই করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন গঙ্গাচড়ায় সামছুল আলম, তারাগঞ্জে শাহিনুর রহমান মার্শাল, পীরগঞ্জে নুর আলম যাদু, কাউনিয়ায় শাহিনুজ্জামান শাহিন, বদরগঞ্জে মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার ও মাসুদ রানা, পীরগাছায় মাহবুবার রহমান, মিঠাপুকুরে আনিছুল ইসলাম ও সদরে মাসুদ নবী মুন্না। জেলা জাপার সদস্যসচিব হাজি আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে আট উপজেলার প্রার্থী নির্ধারণ করেছি। তবে খুব দ্রুত দলীয় সভা করে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুরে জাতীয় পার্টি ভালো করতে না পারলেও উপজেলায় ঘুরে দাঁড়াবে এটা আমার বিশ্বাস।’ মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তুষারকান্তি মণ্ডল বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হলেও রংপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই বিজয়ী হবেন। উন্নয়নের স্বার্থে উপজেলার ভোটাররা আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেছে নেবেন। জাতীয় পার্টি এখানে ভোট পাবে না।’ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব সামছুজ্জামান সামু বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে বিএনপির কেউ নির্বাচনে অংশ নেবেন না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর