শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ছদ্মবেশে ভয়ংকর সব অপরাধ

♦ পরিচয় দিচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ♦ হচ্ছে ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে সংঘটিত হচ্ছে একের পর এক অপরাধ। ডাকাতি থেকে শুরু করে ছিনতাই, অপহরণ প্রতারণাসহ ভয়ংকর সব অপরাধ করছে ছদ্মবেশী চক্রগুলো। যদিও পুলিশের দাবি, এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে ছদ্মবেশী কয়েকটি অপরাধী চক্রকে। যার মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে কয়েকটি অপরাধ হওয়ার পর পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি চক্রকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বাকিগুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের আওতায় আনা হবে।’ চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে অপরাধকারী চক্রগুলোকে চিহ্নিত করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। এরই মধ্যে গ্রেফতারও করা হয়েছে কয়েকজনকে। বাকিগুলোকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরী এবং জেলায় আইন প্রয়োগাকারী সংস্থার পরিচয়ে হচ্ছে নানান অপরাধ। ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ কিংবা চাঁদাবাজি বাদ যাচ্ছে না কোনো অপরাধ। অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ অপরাধীর পাশাপাশি ছদ্মবেশী অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরাও। ১৪ ফেব্রুয়ারি নগরীর বায়েজিদ এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক নারীর কাছ থেকে টাকা দাবি এবং ওই নারীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করে বায়েজিদ থানা পুলিশ। ৫ ফেব্রুয়ারি সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা গৃহকর্তাকে বেঁধে নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। ২৪ জানুয়ারি সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ‘এনবিএম’ নামে একটি ইটভাটার অফিসে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি হয়। এ সময় তারা নগদ অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। ১৮ জানুয়ারি বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন বৌদ্ধ বিহারে পুলিশ পরিচয়ে হয় ডাকাতি। ডাকাত দলের সদস্যরা বিহারের লোকজনকে জিম্মি করে বিহারের উন্নয়নের জন্য রাখা নগদ অর্থ, মোবাইল এবং দান করা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। ২৯ ডিসেম্বর বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে সাত পরিবারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশের এসপি ও অ্যাডিশনাল এসপি পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গত ২ ডিসেম্বর মো. সাগর ওরফে রিমন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। ১৭ আগস্ট নগরীর সিইপিজেড এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে তুলে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করে ইপিজেড থানা পুলিশ। বায়েজিদ থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর ডিবি পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির সময় মুন্না ও আরাফাত নামে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়। তারা ডিবির পরিচয় নিয়ে মিথ্যা মাদক মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করত। তারা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিন্ন কায়দায় প্রতারণার করে বেড়িয়েছে। এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর