রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
ভোট জমেছে দুই সিটিতে

প্রার্থীদের প্রচারে সরগরম ময়মনসিংহের অলিগলি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রার্থীদের প্রচারে সরগরম ময়মনসিংহের অলিগলি

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে চলছে জমজমাট প্রচার। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারাভিযানে সরগরম শহরের অলিগলি। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটারের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। বিশেষ করে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোটপ্রার্থনা নজরে পড়ার মতো। বিজয় ছিনিয়ে আনতে তাঁরা চষে বেড়াচ্ছেন অলিগলি সর্বত্র। এলাকার উন্নয়নের নানা অঙ্গীকার করছেন। গণসংযোগ, উঠান বৈঠকসহ নানাভাবে ভোটারদের কাছে টানতে কাজ করছেন প্রার্থী ও সমর্থকরা। নির্বাচনি এলাকায় শোডাউন, লিফলেট বিতরণ চলছে। গলিতে গলিতে পোস্টার ঝুলিয়ে দিয়েছেন মাথার ওপরে। পোস্টার-ব্যানারে এলাকার আকাশ ছেয়ে গেছে। পাড়ামহল্লায় স্থাপন করা হয়েছে প্রচার ক্যাম্প। সেখানে কর্মী-সমর্থকের ভিড় লেগে থাকে সারাক্ষণ। মেয়র পদে ময়মনসিংহ সিটির সদ্য পদত্যাগ করা মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু (দেয়ালঘড়ি), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম (ঘোড়া), শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কী টজু (হাতি), কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক (হরিণ) এবং জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল (লাঙল) প্রচার চালাচ্ছেন। ইকরামুল হক টিটু গতকাল নগরের জিরো পয়েন্ট এলাকার অনুভব কমিউনিটি সেন্টারে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সমাবেশ ও বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালান। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঘুরে সবার দোয়া ও সহযোগিতা চান। ঘড়িকে উন্নয়নের প্রতীক উল্লেখ করে টিটু বলেন, ‘উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ করতে নগরবাসী আবারও এ প্রতীকে আস্থা রাখবেন। বিগত পাঁচ বছরে শতভাগ উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। সাধারণ মানুষ আমার প্রতি তাদের সমর্থন দিলে চলমান উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করতে পারব।’ এহতেশামুল আলম নগরীর কাঁচিঝুলিসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রচার চালিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মানুষকে সুন্দর ও স্মার্ট শহর উপহার দিতেই প্রার্থী হয়েছি। প্রতীক হাতে পেয়েই মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছি। আমার পক্ষে সাধারণ মানুষের বেশ সাড়া রয়েছে। কারণ বিগত সময়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি।’ সাদেক খান মিল্কী টজু ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুপুরে প্রচার চালান। তিনি বলেন, ‘নগরের মানুষ আকাশ দেখতে চায়, পরিচ্ছন্ন জায়গায় বসবাস করতে চায়, যানজট সমস্যার নিরসন চায়। তাই তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি প্রার্থী হয়েছি। পছন্দের প্রতীক হাতি পেয়েছি। মানুষ পরিবর্তনের লক্ষ্যে হাতি প্রতীকেই আস্থা রাখবে।’ মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরাও প্রচারে নেমেছেন। এ সিটি নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯০ জন। ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭১ পুরুষ, ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১০ নারী ও তৃতীয় লিঙ্গের নয়জন। তারা ৯ মার্চ ইভিএমে ১২৮ কেন্দ্রে ভোট দেবে। মেয়র পদে পাঁচ, ৩৩ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ এবং ১১ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন লড়ছেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় কাউন্সিলর পদে ৩২ ওয়ার্ডে নির্বাচন হবে।

 

সর্বশেষ খবর