রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইন্দোনেশীয় তরুণী প্রেমের টানে মাদারীপুরে

মাদারীপুর প্রতিনিধি

ইন্দোনেশীয় তরুণী প্রেমের টানে মাদারীপুরে

ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। কাজের সুবাদে এই তরুণীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরে পরিচয় হয় বাংলাদেশি তরুণ শামীম মাদবরের। সিঙ্গাপুরে থাকার সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া, ভালোলাগা আরও গভীর হতে থাকে। এভাবেই কেটে যায় দুই বছর। অবশেষে প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে। জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামের শামীম মাদবরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। সিঙ্গাপুর থেকে ৩০ জানুয়ারি বাড়ি আসেন শামীম মাদবর। বাড়িতে এসে বিদেশি তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা পরিবারকে খুলে বলেন। ভিনদেশি তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছা পরিবারের কাছে বলেন। প্রথমে পরিবার মেনে নিতে না চাইলেও তরুণীর সঙ্গে কথা বলে বিয়েতে মত দেন তারা। অবশেষে ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। শামীমের পরিবার সানন্দে গ্রহণ করেন ওই তরুণীকে। শুক্রবার জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। শামীম মাদবরের নিকটাত্মীয় সালমা আক্তার বলেন, ইফহা ইন্দোনেশীয় তরুণী হলেও কাজের জন্য সিঙ্গাপুরে থাকেন। তবে ওর পরিবার ইন্দোনেশিয়া থাকে। আমাদের শামীম সিঙ্গাপুর থাকেন প্রায় ছয় বছর। ওখানে থাকা অবস্থাতেই ইফহার সঙ্গে শামীমের পরিচয়। আমরা ফোনে ওই মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছি। সে খুবই ভালো। ছেলের পরিবার প্রথম বিয়েতে মত না দিলেও পরে সবাই রাজি হয়। মেয়ের পরিবারের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। তারাও রাজি।

এদিকে বিদেশি তরুণীর বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। প্রায় ৮ শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। প্রতিবেশীরা বলেন, বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মেয়েকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করে। শামীম মাদবরের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন, বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বিয়েতে রাজি হয়েছেন। শামীম আসার কিছুদিন পর বিদেশি মেয়েও বাড়িতে আসে। শুক্রবার শামীম ও আমার ছোট ছেলে সুমনের একত্রে বিয়ে দিয়েছি। একসঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি। শামীম বলেন, ইফহা ইন্দোনেশীয় তরুণী। তবে সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থাতে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সম্পর্কে প্রেমে গড়ায়। আমাদের কারও পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা পরস্পরের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়। ইফহা বলেন, আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমরা সিঙ্গাপুর যাব। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে যাব বাবা-মায়ের কাছে।

সর্বশেষ খবর