রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করতে সরকার প্রয়াস চালাচ্ছে : রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য ও নিশ্চিত করতে সরকার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের উপযোগী দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি কল্যাণমূলক সমাজ ও রাষ্ট্র তৈরি করাই সরকারের লক্ষ্য। গতকাল রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে হৃদরোগ বিষয়ক চতুর্থ আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারভেনশনাল একাডেমির যৌথ উদ্যোগে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে সামনে রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সারা দেশে হাসপাতালগুলোর শয্যাসহ চিকিৎসক, নার্স, সাপোর্টিং স্টাফের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করছে।

তিনি বলেন, মেডিকেল শিক্ষার প্রসারে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। গ্রামপর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফ্রি স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়েছে। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে মানসম্পন্ন ও সহজলভ্য চিকিৎসা সেবা প্রদান। দেশে জনসংখ্যার অনুপাতে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা কম। তাই বিপুল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা প্রদানে ডাক্তার ও নার্সদের আরও আন্তরিক হতে হবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা প্রদানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অর্থের অভাবে যাতে চিকিৎসা বঞ্চিত বা অবহেলার শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় চিকিৎসকদের অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি মনে করি, আমাদের চিকিৎসক বিশেষ করে তরুণ চিকিৎসকদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও পেশাদারিত্বের উন্নয়নে এ সম্মেলন ইতিবাচক অবদান রাখবে। হৃদরোগের উন্নততর চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তারাও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন। কমিউনিটি পর্যায়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী যেন আরও সহজেই উন্নত চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন সেই দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখবেন, এই প্রত্যাশা করি। সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, ইন্টারভেনশনাল একাডেমির কোর্স চেয়ারম্যান, ইউএসএ, ডা. রাজেশ এম দেব, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ ও বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান।

 

সর্বশেষ খবর