বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পি কে হালদারের মামলার শুনানি ১৫ মার্চ

কলকাতা প্রতিনিধি

অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলায় বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের মামলার শুনানি পিছিয়েছে। গতকাল কলকাতার নগর দায়রা জজ আদালতে (ব্যাংকশাল) তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন, ২০০২-এর মামলার শুনানির দিন ছিল। বিশেষ সিবিআই কোর্ট-১-এর বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাস দিনটি পিছিয়ে ১৫ মার্চ করেছেন।

টানা কয়েক দফায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকার পর গতকাল অভিযুক্ত পি কে হালদার, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার, আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকেই আদালতে হাজির করা হয়। উল্লেখ্য, প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই মামলায় আরও ১৩ জন আসামি রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার ও প্রায় ৪২৬ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন পি কে হালদারের আইনজীবী সুকুমার মৃধা, তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, সহযোগী অবন্তিকা বড়াল ও চাচাতো ভাই শঙ্খ বেপারী, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার এবং ভাই প্রীতীশ কুমার হালদার এবং সহযোগী পূর্ণিমা রানী হালদার, অমিতাভ অধিকারী, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, উত্তম কুমার মিস্ত্রি ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ডহাউস ১৫ গ্রিনটেক সিটি থেকে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ ছাড়া রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারের পাঁচ সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে পি কে হালদারসহ পাঁচ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে, একমাত্র নারী অভিযুক্ত আলিপুর নারী সংশোধনাগারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর