শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশত

বাড়িঘর ভাঙচুর, আটক ৩৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে নোয়াবাড়ী গোষ্ঠীর সঙ্গে মেম্বার গোষ্ঠীর সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চার রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ঘটনার সময় কমপক্ষে ১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়। পরে পুলিশ ৩৩ জনকে আটক করেছে।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আহতদের মধ্যে ৪৭ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কাউসার আহমেদও রয়েছেন চিকিৎসা নেওয়া আহতরা হলেন, কাউসার (৪২), মুখলেস (২৯), মোহন (২৫), জহুরুল হক (৩২), আবদুল্লাহ (২৫), ছোট্ট মিয়া (৫৫), মিলন মিয়া (২৩), রিপন মিয়া (২৯), জাকির মিয়া (২৮), রিপন মিয়া (২২), আব্বাস আলী (৪৫), তানভীর (২২), আশু মিয়া (৪২), শফিকুল (৩২), রফিক (৩৮), জসিম (৩২), রিপন (২৮), আবু লাল (৪০), কাউসার (১৪), আবন মিয়া (৩০), জয়নাল (৪০), লুৎফুর (৩০), সাদেকুল (৪০), নাজমুল (২০), ওহিদ (৪০), তারেক (২০), রামিত (৩০), জসিম (২০), সিরাজ (৪৫), কুশনাহার (৪০), রাসেল (১৪), নাসির মিয়া (৪৫), ফায়েজ মিয়া (৩০), বিল্লাল মিয়া (৩৫), আবদুল্লাহ (২৭), আবু তাহের (৯০), মোশাররফ (৩০), সাকিব (১৮), মিলন (২৮), মনা মিয়া (১৮), নাঈম (১৫), হাকিম (৩০), শামীম (৩০), আবুল  হোসেন (৩৫), মোজাম্মেল (২৫), মামুন (৩৫), আজগর (৪০)। তবে কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। স্থানীয়রা জানান,  ইউপি নির্বাচন পরবর্তী বিরোধ নিয়ে স্থানীয় নোয়াব আলী গোষ্ঠীর সঙ্গে কাউসার মেম্বার গোষ্ঠী-

 

হাঁড়িবাড়ি-মোড়াবাড়ি-উত্তরপাড়া-সৈদাবাড়ি- হাজী গোষ্ঠী-মাইঝগাঁও গোষ্ঠীসহ অন্তত সাতটি গোষ্ঠীর বিরোধ চলে আসছিল। ছয় মাস আগে কাউসার মেম্বারের মেয়ে নোয়াব আলী গোষ্ঠীর আবদুল আহাদের ছেলে মহসীনের সঙ্গে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আবারও বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে গতকাল উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজ মাস্টার, জনাব আলী, জাহাঙ্গীর, বিল্লাল মিয়া, শের আলী, নূর আলী, আন্দর আলী, ইয়াসিন, হাসেম উদ্দিনের বাড়ি মিলিয়ে ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় লুটপাটও চালানো হয়েছে।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরশাদুল ইসলাম বলেন, মেয়ে সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সংঘর্ষে বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে বিজয়নগর থানা পুলিশ এলাকা থেকে ১০ জন ও সদর থানা পুলিশের সহায়তায় জেলা সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিতে আসা ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর