শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

দেশের সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব সবার : হাই কোর্ট

সালাম মুর্শেদীর বাড়ি প্রশ্নে রুল শুনানি রবিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাই কোর্ট বলেছেন, দেশের সম্পত্তি মানে কী- আপনার-আমার সবারই সম্পত্তি। এটি রক্ষার দায়িত্ব কিন্তু সবার। খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে এক শুনানিতে গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। পরে এ সংক্রান্ত রুল শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ঠিক করে দেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী অনীক আর হক ও সৈয়দ সায়েদুল হক শুনানিতে অংশ নেন। সালাম মুর্শেদীর আইনজীবীর পক্ষে স্বল্প সময়ের জন্য শুনানি মুলতবি (শর্ট পাসওভার) চান আইনজীবী হাসান হাবিব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন মাসুদ। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, মানুষ অপহরণের মতো সালাম মুর্শেদী গুলশানের বাড়ি অপহরণ করে বাস করছেন। এই বাড়িতে তিনি প্রতি সেকেন্ড অবৈধভাবে বাস করছেন। এ সময় হাই কোর্ট রাজউকের আইনজীবীকে প্রশ্ন রেখে বলেন, সেটেলমেন্ট কোর্টের অর্ডার ছাড়া এই সম্পত্তি কীভাবে সালাম মুর্শেদীর কাছে হস্তান্তর করা হলো। পরে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করেন। রাজধানীর গুলশান-২-এ অবস্থিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি সালাম মুর্শেদীর দখলে রাখার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক (বর্তমানে সংসদ সদস্য)। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর হাই কোর্ট রুল জারি করে বাড়ি-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এরপর রাজউক নথি দাখিল করে। পরে বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেওয়া হয়। আগের ধারাবাহিকতায় গত ১৭ জানুয়ারি হাই কোর্ট এক আদেশে প্রশ্ন ওঠা ওই ভূমি বা প্লটের চেইন অব টাইটেল (মালিকানা হস্তান্তরের পরম্পরা), দখল-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র যুক্ত করে পক্ষগুলোকে হলফনামা (এফিডেভিট ইন অপজিশন) দাখিল করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে অনুসন্ধান প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র যুক্ত করে দুদককে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হলফনামা দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘সম্পত্তিটি কীভাবে হস্তান্তরিত হলো তা আমরা দেখতে চাই। চেইন অব টাইটেল (মালিকানা হস্তান্তরের পরম্পরা) দাখিল করতে বলা হয়েছিল। যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবে আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।’ ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই বাড়িটির (ভূমি বা প্লটের মালিকানা হস্তান্তর) পরম্পরার তথ্য আদালতে তুলে ধরেন দুদকের আইনজীবী। আগের ধারাবাহিকতায় গতকাল বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর