চিংড়িঘের দখল নিয়ে কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়ায় শনিবার দুই পক্ষের গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় আরেকজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত ব্যক্তির নাম সাদ্দাম হোসেন (৩৮)। তিনি উপজেলার সোনাদিয়ার পশ্চিমপাড়ার আনোয়ার পাশার ছেলে। এর আগে শনিবার বেলা ১১টার দিকে সোনাদিয়ার পশ্চিম পাড়া বড়ঘোনা নামের চিংড়িঘেরে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাইফুল ইসলাম (৩৩) নামে এক লবণচাষি নিহত হন। সাইফুল বড়মহেশখালী ইউনিয়নের মুন্সির ডেইল এলাকার গোলাম কুদ্দুসের ছেলে। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জে বাড়ির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে এক কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, শনিবার দুই পক্ষের গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন নামের আরেকজন মারা গেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে এ ঘটনায় গতকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। গতকাল দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে আটক করেছে। পরে এলাকাবাসীর হাতে অস্ত্রসহ আটক মোহাম্মদ রাকিব নামের এক যুবককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় সব মিলে আটক হয় চারজন। অন্যদের ধরার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার চিংড়িঘের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাইফুল ইসলাম (৩৩) নামে এক লবণচাষি প্রাণ হারান। তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন অন্তত সাতজন। আহত সাদ্দাম হোসেন, শফিউল আলম, আনজু মিয়া, ইমতিয়াজ উদ্দিন এবং ফরিদুল আলমকে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে সাদ্দাম হোসেন মারা যান।