মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
কুমিল্লায় জমজমাট প্রচারণা

সাক্কুর উঠান বৈঠকে হামলার অভিযোগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি

তিন দিন পর ভোট। শেষ সময়ের প্রচারে ব্যস্ত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) উপনির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা। এদিকে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নির্বাচনি মাঠ। গতকাল সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর মালিকানাধীন নিশা টাওয়ারে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। হামলা চালানো হয়েছে তার উঠান বৈঠকে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটে। মনিরুল হক সাক্কু লক্ষ্মীপুর ও নতুন চৌধুরীপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা উঠান বৈঠকে ছিলাম। এ সময় একটি ছেলে বোরকা ও হিজাব পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ছাড়া ৩০-৪০ জন দা-ছেনি নিয়ে আসে। তারা আমার নিশা টাওয়ার ভাঙচুর করেছে। হামলাকারীরা সরকারদলীয় লোক। সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান বলেন, ‘সাক্কু সাহেব হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ দিয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, বাস প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এমপি আ ক বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে তাহসিন বাহার সূচনা রাজাপাড়া, উনাইসার, থিরাপুকুরপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, কুমিল্লায় সিটি নির্বাচন ঘিরে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনে যারা অপরাজনীতি করে এবং যাদের অভিযোগের প্রবণতা বেশি তারা এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। তারা শুধুই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় আসেন। করোনার সময় মানুষের পাশে থাকেন না। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার নগরীর অশোকতলা, বালুধুম এলাকায় গণসংযোগকালে বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা ১৭ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার। মানুষ নির্যাতন এবং জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চায়। ৯ মার্চ ভোটের মাধ্যমে তারা এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাবেন। কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি আমাকে স্পর্শ করবে না।’ হাতি প্রতীকের প্রার্থী নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম নগরীর হালুয়াপাড়া, দৈয়ারা, মনোহরপুর এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বাস প্রতীকের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘ওরা বুঝতে পারছে তাদের ভোট নেই। তাই তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হলে এসব ঘটনা ঘটছে কেন? দয়া করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করুন। ভোটের পরিবেশ নষ্ট হলে জনগণ ভোট দিতে আসবে না।’

 

 

 

সর্বশেষ খবর