বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত উভয় দেশ মিলিয়ে ৬৪ হাজার ৪০০ টন পিঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। এর মধ্যে বাংলাদেশকে ৫০ হাজার টন, বাকি ১৪ হাজার ৪০০ টন পিঁয়াজ রপ্তানি করা হবে আরব আমিরাতকে। গতকাল ভারতের ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড’ (ডিজিএফটি)-এর তরফে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। ‘ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্টস লিমিটেড’ (এনসিইএল) সংস্থার মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ পিঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে উভয় দেশকে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশে পিঁয়াজ রপ্তানি করার বিষয়ে রূপরেখা তৈরি করবে এনসিইএল। দেশীয় বাজারে পিঁয়াজের দাম যাতে নাগালের বাইরে না চলে যায় সেদিকে খেয়াল রেখেই সুসংগঠিতভাবে পিঁয়াজ রপ্তানি করতে চায় ভারত সরকার। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৪ হাজার ৪০০ টন পিঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে তিন মাস প্রতি ৩ হাজার ৬০০ টন পরিমাণের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত বছর ভারতে পিঁয়াজের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বাজারে পিঁয়াজের ঘাটতির কারণে গত বছরের অক্টোবরে হঠাৎ করে পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়। সেই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ও দেশের বাজারে পিঁয়াজ সরবরাহ বাড়াতে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর পিঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত সরকার, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে ভারতের কাছ থেকে পিঁয়াজ চেয়ে আরজি জানায় প্রতিবেশী একাধিক দেশ। তারপরই নিষেধাজ্ঞায় শিথিলতা এনে বন্ধু প্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পিঁয়াজ রপ্তানির ব্যাপারে অনুমতি দেয় সরকার।