বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন

ড. হাদিউজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেছেন, পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজি এখন ওপেন সিক্রেট একটা বিষয়। চাঁদাবাজদের সবাই চেনে। পরিবহন থেকে কারা চাঁদা ওঠাচ্ছে তা পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা ও সংসদীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে অনেকে জানেন। এখানে একটা সিন্ডিকেট কাজ করছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে রাজনৈতিক সর্বোচ্চ সদিচ্ছা প্রয়োজন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাদিউজ্জামান বলেন, কিন্তু যখনই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয় তখন ছোটখাটো পাতিনেতা ও লাইনম্যানদের আটক করা হয়। অথচ এই চাঁদাবাজি কার ইন্ধনে হয়, কে চাঁদা তুলতে অনুমতি দিচ্ছে এরকম কাউকে গ্রেফতার করা হয় না। এ চাঁদাবাজ চক্রে রাজনৈতিক নেতারা রয়েছেন। পুলিশ প্রশাসনসহ আইন প্রয়োগকারীর কিছু সংস্থা জড়িত আছে। একই সঙ্গে পরিবহন মালিক, শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও যুক্ত। এ সিন্ডিকেট অনেক শক্তিশালী। এটাকে ভাঙতে লাইনম্যান থেকে শুরু করে নির্দেশদাতা পর্যন্ত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

 

তিনি বলেন, যানবাহন সনাতন পদ্ধতিতে চলছে। যেখানে মানুষ সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে সেখানে চাঁদাবাজি বন্ধ করা কঠিন। সেক্ষেত্রে মানুষকে পরিবহন সিস্টেম থেকে বের করতে হবে। এর জন্য প্রথমে মহাসড়কগুলোতে ট্রাফিক ইনফোর্সমেন্ট ক্যামেরা বসাতে হবে। গাড়ির কাগজপত্র সব অনলাইনে চলে যাবে। কোনো চালক আইন লঙ্ঘন করলে সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরা জানিয়ে দেবে। আইনানুগ জরিমানা হয়ে যাবে। সেখানে মানুষ সচেতন হয়ে যাবে। একই সঙ্গে প্রশাসনের চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর