বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

জাতীয় মিষ্টি উৎসব

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

জাতীয় মিষ্টি উৎসব

দেশের অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি নিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হলো পাঁচ দিনের জাতীয় মিষ্টি উৎসব। গতকাল রাজধানীর রমনায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমেদ। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পী হাশেম খান।

ক্ষীরকদম, সন্দেশ, দই, গোলাপজাম, কাঁচা ও পাকা দুই রকমের আম রসগোল্লা, মতিচুরের লাড্ডু, কেশর কালাকাধ, মালাই চমচম, সাতক্ষীরার সন্দেশ, নলেন গুড়ের সরপুরি, প্যাড়া, ভোলার মহিষের দুধের টক দই, চাঁদপুরের বিখ্যাত ক্ষীর, চট্টগ্রামের সাদা মিষ্টি, মনসুর, আফলাতুন, কুমিল্লার রসমালাই, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, ঢাকার বাকরখানি, বুনদিয়া, স্পঞ্জ রসগোল্লা (নবাবগঞ্জ), বাতাসা, রাজবাড়ীর চমচম, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, খুলনার সুন্দরবনের মধু, পুড়ের সন্দেশ, পুড়ের গজা, যশোরের খেজুরের গুড়, জামতলার মিষ্টি, পাটালি, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, মেহেরপুরের সাবিত্রি মিষ্টি, রসকদম, পাবনা ও নওগাঁর প্যারা সন্দেশ, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বগুড়ার দই, ময়মনসিংহের মণ্ডা (মুক্তাগাছা), কৃষ্ণা কেবিনের মালাইকারীসহ হরেক রকমের মিষ্টি ও মিষ্টান্ন দিয়ে সাজানো হয়েছে এই উৎসব।

প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রতিদিন বিকাল ৫টায় থাকবে লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

এই উৎসবে দেশের ৬৪ জেলা থেকে ৬৪টিরও বেশি মিষ্টির স্টল নিয়ে একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসেছেন মিষ্টির কারিগররা। ১০ মার্চ শেষ হবে পাঁচ দিনের এই মিষ্টি উৎসব। উল্লেখ্য, দেশের জিআই পণ্য হিসেবে মিষ্টান্নের মধ্যে এরই মধ্যে নিবন্ধন পেয়েছে নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বগুড়ার দই, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, যশোরের খেজুর গুড়সহ নানান মিষ্টান্ন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর