যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্টারন্যাশনাল ওমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন বাংলাদেশের অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। শান্তি, মানবাধিকার এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আরও ১০ নারীর সঙ্গে তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন। গতকাল হোয়াইট হাউসে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে ফাওজিয়াসহ ১১ নারীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। অপর ১০ নারী হলেন- আফগানিস্তানের অ্যাটর্নি বিনাফশা, বেলারুশের ভোলহা হারবুনোভা, বসনিয়া-হারজেগভিনার অ্যাজনা জাসিস, বার্মার মিইনটজু উইন, কিউবার মার্থা বিটরিজ, ইকুয়েডরের ফাতিমা করোজো, গাম্বিয়ার ফটো বালডেহ, লন্ডনে বসবাসরত ইরানের ফারিবা বালোচ, জাপানের রিনা গোনই, মরক্কোর রাভা আল হেইমার এবং উগান্ডার এগাথার অতুহেইরে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ তিন দশকের বেশি সময় ধরে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন। তিনি ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্ল্যাড) চেয়ারম্যান।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে চালু করা এই বার্ষিক পুরস্কারটি বিশ্বজুড়ে নারীদের সম্মানিত করে। যারা তাদের সম্প্রদায়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অসম সাহস, শক্তি ও নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছেন এবং প্রায়শই বড় ধরনের ঝুঁকি ও ত্যাগ স্বীকার করেন- তাদেরই এ পুরস্কারে মনোনীত করা হয়। এখন পর্যন্ত এই কর্মসূচির অধীনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ৯০টি দেশের ১৯০ জনের বেশি নারীকে এভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্তরা মানবাধিকার সুরক্ষা, লিঙ্গ-সমতা এবং তাদের সমস্ত বৈচিত্র্যের মধ্যে নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার জন্য নিরন্তরভাবে কাজ করেছেন।
