বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
নির্বাচনের পর প্রথম সভা

প্রশ্নবাণে জর্জরিত জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ নির্বাচনের পর প্রথম দলের প্রেসিডিয়াম সভায় গতকাল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের নেতা ও এমপিদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েছেন। সভায় অনেক বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তেও পৌঁছতে পারেননি নেতারা। আবার অনেকে মন খারাপ করে সভা থেকে বের হয়েও গেছেন।

সকাল ১০টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর বনানীর জাপার চেয়ারম্যান কার্যালয়ে। জানা গেছে, দলের শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কিছু নেতা সকাল সকাল সভায় অংশ নেন। এ সময় কিছু কিছু নেতা দ্বাদশ নির্বাচনে পার্টির অংশ নেওয়াসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে খোলামেলা প্রশ্ন তোলেন। একটি সূত্র জানায়, সভায় আগামী ১২ অক্টোবর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপির সভাপতিত্বে ২৫ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্য জানান, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সভার সমন্বয় ছিল না। পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিয়ে অনেক প্রশ্ন দায়সারাভাবে এড়িয়ে যান। এতেকরে অনেক নেতাই বিব্রত বোধ করেন। জাপার একাধিক সূত্র জানায়, সভার মাঝামাঝি সময়ে বের হয়ে যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ফখরুল ইমাম ও গোলাম কিবরিয়া টিপু। সভায় নেতারা বলেন, সমঝোতার আসনগুলোর মধ্য থেকেই ১১টিতে জয়ের দেখা পেয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। বাকি কোথাও তারা জিততে পারেননি। এমনকি কোথাও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারেননি। আওয়ামী লীগের ছাড় দেওয়া সত্ত্বেও ভোটে জিততে না পারাকে বড় ধরনের ব্যর্থতা বলে মনে করেন তারা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বছরের পর বছর সমঝোতার রাজনীতি করতে গিয়ে নিজেদের সাংগঠনিক সক্ষমতা ধ্বংস করে দেওয়ার ফলেই এমন ভয়াবহ ভরাডুবির শিকার হতে হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন। সভায় এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, সারা দেশে জাতীয় পার্টির হাতেগোনা কয়েকজন নেতার জয় ছাড়া বেশির ভাগ নেতার অসহায় পরাজয় হয়েছে। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার তালিকায় থাকা সবচেয়ে বেশি প্রার্থীও আমাদের। এমন পরাজয়ের নেপথ্যে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ জনগণের মতামতের মূল্যায়ন না করাকে দোষেন তিনি। নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই এই চিত্র প্রকট হয়ে উঠছিল বলে জি এম কাদেরকে জানিয়েছেন এই নেতা। আরেক সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সভায় বলেন, নির্বাচনের আগে কার নেতৃত্বে দল নির্বাচনে যাবে, আদৌ যাবে কি না- এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হয় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় পর্যন্ত। নির্বাচনে যাওয়া-না যাওয়া নিয়ে নেতাদের বিভ্রান্তিতে রাখায় তারা ভোটের মাঠ গোছাতে সময় পাননি।

 

সর্বশেষ খবর