বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

হুমকির অভিযোগ আয়হামের মা-বাবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল সেন্টারে খতনা করাতে গিয়ে মারা যাওয়া শিশুর মা-বাবা আইনজীবী ও পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ সময় বিভিন্ন মহল থেকে ফোনকলে তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তারা। গতকাল দুপুরে শিশু আহনাফ তামহিদ আয়হামের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি করেন তারা। আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ মানববন্ধন আয়োজন করেন। এ সময় আয়হামের সহপাঠীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘বিচার চাই বিচার চাই, আয়হাম হত্যার বিচার চাই’ স্লোগান দেয়। মানববন্ধনে আয়হামের মা খায়রুন নাহার প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘অ্যানেসথেসিয়া দিতে হলে অভিভাবকের লিখিত অনুমতি নিতে হয়। তারা কোনো অনুমতি নেননি। বাচ্চাটা মারা যাওয়ার তিন ঘণ্টা পরও তারা স্বীকার করেননি যে বাচ্চাটা মারা গেছে।’

তিনি বলেন, ‘অবহেলায় আমার বাচ্চা মারা যায়নি। পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল এটা। তারা আমাদের না জানিয়েই অ্যানেসথেসিয়া দিয়েছেন, ওটিতে মা-বাবা কাউকেই ঢুকতে দেন নাই। বাচ্চাটা মারা যাওয়ার পরও আমাদের জানানো হয়নি, বাচ্চাটা মারা গেছে।’ আয়হামের মা আরও বলেন, ‘আমার বাচ্চা হত্যার বিচার বিভিন্নভাবে ওপর মহল থেকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। আমাকে অনেক নম্বর থেকে ফোন দিয়ে হুমকিধমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা বলছে, ওপর মহল থেকে চাপ আছে, তাদের জামিন দিয়ে দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডাক্তারের পক্ষের লোকেরাই হুমকি দিচ্ছে। আমার বাসা কোথায়, আরেকটা বাচ্চার বয়স কত, সে কোথায় পড়ে- এগুলো জানতে চাচ্ছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পরিবর্তন করার জন্যও তারা লোক লাগিয়ে রেখেছে। এসবই প্রশাসন, পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু থানা থেকে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি না।’ তিনি মামলা ডিবি বা পিবিআইয়ে হস্তান্তরের দাবি জানান। আয়হামের বাবা ফখরুল আলম বলেন, ‘আইনজীবীদের কাছ থেকেও তেমন সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমার মনে হচ্ছে তাদেরও প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে।’ তিনি আইনজীবী পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশও আমাদের সহযোগিতা করছে না। তারা আমাদের কোনো তথ্য দিচ্ছে না।’ মানববন্ধনে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য মো. শাহাদাত ঢালী বলেন, ‘দেশে যত হাসপাতাল আছে, সব শর্ত পূরণ করে যদি হাসপাতাল হয়, তাহলে এমন ঘটনা আর সেখানে ঘটবে না।’

 

সর্বশেষ খবর