শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

অতিরিক্ত লবণে ঝুঁকি হৃদরোগের

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে প্রতি বছর ২ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ হৃদরোগে মারা যায়। প্রায় ২ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। লবণের মাধ্যমে এ অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরে গিয়ে ডেকে আনছে বিপদ। খাবারে লবণের মাত্রা কমালে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘এনগেজিং স্টেকহোল্ডারস ইন ইমপ্রুভিং কার্ডিওভাসকুলার হেলথ ইন বাংলাদেশ থ্রো সোডিয়াম রিডাকশন’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তাঁরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং রিজলভ টু সেভ লাইভস (আরটিএসএল) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় কার্ডিওভাসকুলার হেলথ বিষয়ক বৈশ্বিক চিত্র উপস্থাপন করেন আরটিএসএলের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী ডা. টম ফ্রিইডেন। তিনি বলেন, শুধু খাবারে সোডিয়ামের মাত্রা কমালেই হৃদরোগসহ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং অকালমৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাংলাদেশের সামনে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ৩০% সোডিয়াম গ্রহণ কমানোর বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আদর্শ সুযোগ রয়েছে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৯ গ্রাম লবণ গ্রহণ করে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত ৫ গ্রামের প্রায় দ্বিগুণ। এ লবণের একটি বড় অংশ আসে প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবার থেকে। দেশে অধিকাংশ প্যাকেটজাত খাবারে অতিমাত্রায় লবণের উপস্থিতি পাওয়া গেছে; যা হৃদরোগসহ অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রোগ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, সরকার খাবারে সোডিয়াম গ্রহণের মাত্রা ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর এবং এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের সমন্বয়ে সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হৃদরোগসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে একটি জাতীয় কৌশল ও রোডম্যাপ প্রণয়নের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কর্মশালায় সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক অফিসের উদ্যোগে প্রকাশিত বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত খাবারের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য সোডিয়ামের মাত্রাবিষয়ক নীতিমালা বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাবারের সোডিয়াম হ্রাসে ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ স্বল্প-সোডিয়ামযুক্ত লবণের অনুমোদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. সাধনা ভগওয়াত, আরটিএসএলের প্রতিনিধি লিন্ডসে স্টিল ও নোরা আবদেল গাওয়াদ বক্তব্য দেন। কর্মশালায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক স্কুল অব পাবলিক হেলথের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর