শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন শুরু

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন শুরু

শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হলো তিন দিনের জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন। জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের আয়োজনে গতকাল সকালে একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। ইমেরিটাস প্রফেসর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রামেন্দু মজুমদার বলেন, শিল্পী জাহিদুর রহিমকে স্মরণ করার সূত্র ধরে সূচনা হয়েছিল রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের। আজ এটি দেশের রবীন্দ্রসংগীত চর্চার শুদ্ধ প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর বার্ষিক অধিবেশনের মধ্য দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নবীন প্রতিভাদের সামনে নিয়ে আসা হয়। আবার ঢাকা থেকে শিক্ষকরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েও শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেন। এ কাজটি শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম বিশেষ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী প্রয়াত ওয়াহিদুল হক। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান রামেন্দু মজুমদার।

শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজ প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের মধ্যে একদিকে বিশ্বব্যাপী কালান্তর ঘটে চলেছে, অন্যদিকে বিশ্বের নানা প্রান্তে চলছে মানবতার চরম লাঞ্ছনা। গাজায় হত্যাযজ্ঞে প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানবতার বিপর্যয় নিয়ে যে আর্তি প্রকাশ করেছিলেন, তা থেকে যেন কিছুই শেখা হয়নি।

ইমেরিটাস প্রফেসর আতিউর রহমান বলেন, রবীন্দ্রনাথ বলতেন, শিক্ষার পাঠক্রম শিক্ষালয়ের বাইরের জগতে নিও। তাই স্বদেশের পাশাপাশি গোটা বিশ্বকে বুঝতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে গানের সঙ্গে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়। এরপর ছিল বোধনসংগীত ‘নিশিদিন ভরসা রাখিস, ওরে মন, হবেই হবে।’ আলোচনা পর্ব শেষে পরিবেশিত হয় গীতি-আলেখ্য : ‘সত্যের আনন্দ রূপ এই তো জাগিছে।’ এরপর দুপুরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় কিশোর বিভাগের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। প্রথম দিনের সন্ধ্যার আয়োজনে ছিল প্রদীপ প্রজ্বালন, সংগীতানুষ্ঠান, নৃত্য-আলেখ্য। এবারের সারা দেশ থেকে আসা ৭০০ জনের বেশি শিল্পী অংশ নিচ্ছেন এ আয়োজনে। কাল রবিবার শেষ হবে তিন দিনের এই সম্মেলন।

 

সর্বশেষ খবর