রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

শেষ হলো গণসংগীত উৎসব

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শেষ হলো গণসংগীত উৎসব

কণ্ঠ ছেড়ে গান গেয়ে, কণ্ঠরোধের সব কালাকানুন ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে শেষ হলো উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী আয়োজিত দ্বাদশ সত্যেন সেন গণসংগীত উৎসব ও জাতীয় গণসংগীত প্রতিযোগিতা। গতকাল বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী আয়োজন।

আয়োজনের শুরুতেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ। এরপর উদীচী সংগীত বিভাগের সমবেত পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্ব। তারা পরিবেশন করে- ‘মারো জোয়ান হেইয়ো’, ‘তুমি মানুষ আমি মানুষ সকল এক মায়ের সন্তান’ এবং ‘গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু-মুসলমান’ গান তিনটি। আলোচনা পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি এবং দ্বাদশ সত্যেন সেন গণসংগীত উৎসব ও জাতীয় গণসংগীত প্রতিযোগিতা প্রস্তুতি পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ সেলিম। এরপরই দ্বাদশ সত্যেন সেন গণসংগীত উৎসব ও জাতীয় গণসংগীত প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীদের হাতে ফুল, ক্রেস্ট এবং সনদপত্র তুলে দেন উদীচী কেন্দ্রীয় নেতারা। এবারের প্রতিযোগিতায় ‘ক’ বিভাগে প্রথম শ্রেয়া রায়, দ্বিতীয় তীর্থ বিশ্বাস এবং যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছেন রাহুল দেবনাথ ও সায়রা খান শুকরিয়া। ‘খ’ বিভাগে দেশসেরা তনুশ্রী পাল, দ্বিতীয় অনুশ্রী শর্মা ও তৃতীয় হয়েছেন রাহমিম ইয়াসরীব সামিন। ‘গ’ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ইমন দাস, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ এবং তৃতীয় হয়েছেন অলি উল্লাহ। এ ছাড়া দলীয় অর্থাৎ ‘ঘ’ বিভাগে দেশসেরা হয়েছে উদীচী নোয়াখালী জেলা সংসদ, দ্বিতীয় উদীচী বগুড়া জেলা সংসদ এবং তৃতীয় স্থান পেয়েছে খুলনার সৃজনী সংগীত একাডেমি। সাংস্কৃতিক পর্বে একক সংগীত পরিবেশন করেন শ্রেয়া রায়, তীর্থ বিশ্বাস, তনুশ্রী পাল, অনুশ্রী শর্মা, রাহমিম ইয়াসরীব সামিন, ইমন দাস, জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ এবং অলি উল্লাহ। আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে একক সংগীত পরিবেশন করেন প্রলয় সাহা। সমবেত সংগীত পরিবেশন করে আমন্ত্রিত দল বহ্নিশিখা এবং চারণের শিল্পীরা। এ ছাড়া ছিল উদীচী নোয়াখালী জেলা সংসদের সমবেত পরিবেশনা। সব শেষে উদীচীর দ্বাদশ সত্যেন সেন গণসংগীত উৎসব ও জাতীয় গণসংগীত প্রতিযোগিতার সমাপনী ঘোষণা দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। এ পর্বটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কংকন নাগ। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হয় জাতীয় পর্যায়ের গণসংগীত প্রতিযোগিতা। জেলা শেষে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করে বিজয়ী হয়ে সারা দেশ থেকে আসা প্রায় তিনশ শিল্পী দিনভর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। তিনটি একক এবং একটি দলীয়- মোট চারটি বিভাগে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এরপর ওইদিন বিকালে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর