রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই গৃহবধূসহ এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। গতকাল লাশ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহতরা হলো- যাত্রাবাড়ীর গৃহবধূ জ্ুঁই আক্তার চাঁদনি (১৮), কদমতলীর গৃহবধূ রুবিনা রিমি (২২) ও গুলশানের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মুসকান মিম (২৩)।

যাত্রাবাড়ী থানার এসআই তামান্না আক্তার জানান, জুঁইয়ের বাড়ি রংপুরের তাজহাট উপজেলার আদর্শপাড়া গ্রামে। বাবার নাম হারুন অর রশিদ। স্বামী রিংকুকে নিয়ে যাত্রাবাড়ী গোবিন্দপুর কবরস্থান রোডে নানা আলী হোসেনের সঙ্গে থাকতেন। গত শুক্রবার স্ত্রী জুঁইয়ের মোবাইলফোনে একটি আপত্তিকর ছবি দেখে ফেলেন স্বামী রিংকু। এ নিয়ে সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরে শুক্রবার রাতে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেন তিনি। দেখতে পেয়ে স্বামী থানায় খবর দিলে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঢামেক সূত্র জানায়, শিক্ষার্থী মুসকান মিমের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পূর্বপানপট্টি গ্রামে। বাবার নাম ফরিদ হাওলাদার। তার বড় বোন সুবর্ণা বেগম জানান, মুসকান ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী। মুসকান একা একা গুলশান সুবাস্তু নজর ভ্যালির ১৫ তলায় একটি বাসায় থাকতেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় মুসকান নিজেই ভগ্নিপতি আশরাফুল ইসলাম হৃদয়কে ফোন করে জানান- তার প্রচ পেট ব্যথা করছে। এর কিছুক্ষণ পর ভগ্নিপতি গুলশানের ওই বাসায় গিয়ে মুসকানকে স্থানীয় পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে মধ্যরাতে তাকে ঢামেকে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মুসকান তাদের জানিয়েছিলেন- পোকামাকড় নিধনের কীটনাশক পান করেন তিনি। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ঘটনাটি গুলশান থানা পুলিশ তদন্ত করছে।