রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কেনাকাটায় বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সর্বনিম্ন দরদাতাকে বাদ দিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ দরদাতাকে কাজ দিয়ে প্রায় ৬ কোটি টাকা লুটপাটের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, হাসপাতালটির জন্য নয়টি দরপত্রের মাধ্যমে ৯৬ কোটি ৪০ লাখ ১ হাজার টাকার যন্ত্রপাতি ক্রয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। নয়টি দরপত্রে বাংলাদেশ সায়েন্স হাউস, বগুড়া ট্রেড সেন্টার, জেনেসিস ট্রেডিং, এইচটিএমএস লিমিটেড, মাইক্রো ট্রেডার্স, আনিফকো হেলথ কেয়ার, নিউ ভিশন মেডিসিস্টেম,

ওশান এন্টারপ্রাইজ, ট্রেড ভিশন, আরপি এন্টারপ্রাইজ, ইনোভেশন টেকনোলজিস্ট ও মেডিলিঙ্ক টেকনো হাটসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। ইতোমধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতাকে বাদ দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচটি দরপত্রের প্রায় ৬৪ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার কাজ দেওয়া হয়েছে। আরও চারটি দরপত্রের কাজও একই প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার সব আয়োজন শেষ করেছেন দরপত্র প্রক্রিয়ায় জড়িত কর্মকর্তারা। এতে সরকারের প্রায় ৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে। দরপত্রের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবগুলো কাজ পেয়েছে বাংলাদেশ সায়েন্স হাউস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ৯২৭৬১০ নম্বর আইডির দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল মাইক্রো ট্রেডার্স। তার চেয়ে ২ কোটি ৪ লাখ ২ হাজার ৭৫০ টাকা বেশি দর দিয়েও কাজটি পেয়েছে বাংলাদেশ সায়েন্স হাউস। ৯২৭৬১২ আইডির দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল নিউ ভিশন মেডিসিস্টেম। তাদের চেয়ে ২ কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা বেশি দর দিয়ে চতুর্থ দরদাতা হয়েও কাজটি পেয়েছে বাংলাদেশ সায়েন্স হাউস। ৯২৭৬১৩ আইডির দরপত্রে সর্বনিম্ন দর দিয়েছিল এইচটিএমএস। তাদের চেয়ে ১ কোটি ২৯ লাখ ৪ হাজার ৮৮ টাকা বেশি দর দিয়েও কাজটি পেয়েছে বাংলাদেশ সায়েন্স হাউস। একইভাবে ৯২৭৬১৫ আইডির দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা না হয়েও কাজটি পেয়েছে বাংলাদেশ সায়েন্স হাউস।

সর্বনিম্ন দরদাতা না হয়েও সবগুলো কাজ একই প্রতিষ্ঠান পাওয়ার ব্যাপারে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য মোসা. ফেরদৌসী আক্তার বলেন, সরকারি সব নিয়ম মেনে দরপত্র আহ্বান করা হয়। যারা সব শর্ত মেনে আবেদন করেছে, তারাই কাজ পেয়েছে। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও প্রকল্প পরিচালক ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, টেন্ডার কমিটির আহ্বানকৃত দরপত্রের শর্তাবলি অনুযায়ী যারা দরপত্র দাখিল করেছেন, শুধু তাদের দরপত্র গৃহীত হয়েছে। আর যারা দরপত্রের শর্তাবলি এবং কর্তৃপক্ষের চাহিদাকৃত মালামালের বর্ণনা অনুযায়ী দরপত্র দাখিল করতে পারেনি তাদের দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম কিংবা পক্ষপাতিত্ব হয়নি।

 

সর্বশেষ খবর