সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

অভিশ্রুতি নয়, বৃষ্টি খাতুন

ডিএনএ টেস্টে মিলল পরিচয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

অভিশ্রুতি নয়, বৃষ্টি খাতুন

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নয়, বৃষ্টি খাতুন। অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বৃষ্টির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে বৃষ্টির ডিএনএ। গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম।

এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে থাকা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন নাজমুল। নজরুল ইন্ডাস্ট্রিজের (পাইপ ও ফিটিংস) মালিক নজরুল ইসলামের চার ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।

ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি ও নাজমুলের পরিবারের সদস্যরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন। ৯ মার্চ তাদের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। উভয়ের পরিবারের সঙ্গে ডিএনএ মিলেছে। ডিএনএ শনাক্তের পর তদন্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা তারাই নেবেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুনে মারা যান বৃষ্টি। বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামে পরিচিত ছিলেন বৃষ্টি। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার লাশ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর রমনা মন্দিরের পুরোহিত বৃষ্টিকে সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন নিজের সন্তান বলে দাবি করেন। এরপর লাশ শনাক্ত করতে নেওয়া হয় ডিএনএ নমুনা। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর বৃষ্টির ডিএনএর সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে। জানা গেছে, কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতির নাম বৃষ্টি খাতুন। কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ার সন্তান বৃষ্টি। লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে ডিএমপির রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, লাশ শনাক্তের বিষয়ে সিআইডি এখনো আমাদের কোনো কিছু জানায়নি। ডিএনএ যদি শনাক্ত হয়, তবে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

এ বিষয়ে বৃষ্টির বাবা শাবলুল আলম সবুজ ও নাজমুলের মামা আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, লাশ নেওয়ার জন্য এখনো তাদের কিছু জানানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই আগুনের ঘটনায় শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সর্বশেষ খবর