মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি

অবশেষে অভিশ্রুতি ওরফে বৃষ্টির লাশ বুঝে পেল পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবশেষে অভিশ্রুতি ওরফে বৃষ্টির লাশ বুঝে পেল পরিবার

রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে নিহত অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের লাশ ১১ দিন পর স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে লাশটি হস্তান্তর করা হয়। তার বাবা শাহাবুল আলম ওরফে সবুজ খান লাশ বুঝে নেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বলেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মা-বাবার সঙ্গে তার ডিএনএ নমুনা মিলে যায়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে বৃষ্টির লাশ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে অগ্নিকাণ্ডে বৃষ্টির মৃত্যু হয়। পরদিন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এসে বৃষ্টি খাতুনের লাশ শনাক্ত করেছিলেন তার বাবা শাহাবুল আলম। তবে রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা দাবি করেন মৃতের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। মেয়েটি নিয়মিত মন্দিরে আসতেন। উৎপল সাহা রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। এরপর বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মর্গ থেকে লাশের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর রবিবার রাতে রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা আবারও লিখিতভাবে আবেদন করেন তার কোনো দাবি নেই, ভুল বোঝার কারণে হয়েছে। লাশ প্রকৃত স্বজনদের হস্তান্তর করা হোক। জানা গেছে, বৃষ্টি খাতুনের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকশা উপজেলার বনগ্রামে। সেখানে ব্র্যাক স্কুল থেকে পাস করে হাইস্কুলে ভর্তি হন। গ্রাম থেকে এসএসসি ও কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকায় ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন বৃষ্টি।

এদিকে ১১ দিন পর মেয়ের লাশ বুঝে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহাবুল আলম সবুজ। মর্গে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে লাখো লাখো শুকরিয়া যে ১১ দিন পার হলেও নিজের মেয়ের লাশ বুঝে পেলাম। সঠিক তথ্য যাচাইবাছাই করে আমার সন্তান আমাকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। আমি সন্তুষ্ট।’

কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরও বলেন, ‘আজ ১১ দিন ঘুরতেছি, আমি একজন বাবা মেয়ের লাশ নিতে পারতেছি না। এ ১১টা দিন কীভাবে ঘুমাইছি কীভাবে থাকছি! ১১টা রাত ঘুমাতে পারি নাই। তার (বৃষ্টি) মায়ের কষ্ট কীভাবে বোঝাব! কান্না করতে করতে অসুস্থ হয়ে গেছে সে। তার বোন দুটাও কান্না করতেছে। এই ভোগান্তিতে পড়েছিলাম। আল্লাহ সেখান থেকে হেদায়েত করে এবং সব তথ্য যাচাইবাছাইয়ের পর আমার সন্তানকে ফেরত পেয়েছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর