সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন কাজল হাজরা। গ্রামের বাজারে মাছ বিক্রেতার কাছে গিয়ে সাইকেল থামান। তখন ওই মাছ বিক্রেতার কাছে মাছের সঙ্গে কচ্ছপের বাচ্চা দেখতে পান। এক দেখাতে তার মনে মায়া ধরে যায়। বিক্রেতাকে অনেক বুঝিয়েও তিনি কচ্ছপটি উদ্ধার করতে পারছিলেন না। তখন পকেট থেকে ১০০ টাকা দিয়ে তিনি এটি কিনে নেন। পরে বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে কচ্ছপটি জলাশয়ে অবমুক্ত করেন।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার রামনগর এলাকায়। কাজলের বাড়ি উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানে। তিনি একজন ফটোগ্রাফার। বন্যপ্রাণী রক্ষায়ও কাজ করেন। আইইউসিএনর তালিকায় এই কচ্ছপটিকে সংকটাপন্ন বলা হয়েছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এটি সংরক্ষিত। কাজল হাজরা বলেন, ‘আমি মাছ বিক্রেতাকে বুঝিয়ে বলি, যে এটি একটি বন্যপ্রাণী। এটা ধরা বা বিক্রি করা অপরাধ। পরে ১০০ টাকা দিয়ে প্রাণীটি কিনে নিই। বন বিভাগকে জানাই। স্থানীয় একজনের বাসায় প্রাণীটি রাখি। পরে বন বিভাগের পরামর্শে প্রাণীটি ছেড়ে দিই। কচ্ছপটি পানিতে ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির নিচে ডুব দিয়ে সাঁতার কাটছিল। দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। মৌলভীবাজার প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এটি হলদে কাইট্টা। কচ্ছপটি কাজল হাজরা মাছ বিক্রেতার কাছ থেকে উদ্ধার করে আমাকে জানান। পরে লাউয়াছড়া স্টুডেন্ট ডরমেটরি লেকে অবমুক্ত করা হয়েছে।
তিনি এর আগেও কয়েকবার বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে বন বিভাগের মাধ্যমে অবমুক্ত করেছেন।