শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভাঙ্গায় লোকালয়ে বিরল প্রজাতির মেছো বাঘ

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ভাঙ্গায় লোকালয়ে বিরল প্রজাতির মেছো বাঘ

ভাঙ্গায় লোকালয়ে বিরল প্রজাতির মেছো বাঘ দেখা গেছে। বাঘটি দেখতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখা যায়। ফরিদপুর বনবিভাগের কর্মীরা দুই ঘণ্টা চেষ্টা করেও বাঘটি আটকাতে সক্ষম হয়নি।

গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর মহল্লার একটি রেইনট্রি গাছে বাঘটি দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তেই খবরটি আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুর ১টার দিকে ভাঙ্গা বাজার বাসস্ট্যান্ড-পূর্ব সদরদী বড় ঘাট আঞ্চলিক সড়কে ৩০০ গজ পূর্ব দিকে এগিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শত শত মানুষের ভিড়। সবার দৃষ্টি একটি রেইনট্রি গাছের ডালের দিকে। দেখা যায় রেইনট্রি গাছের ৩০ থেকে ৩৫ ফুট উচ্চতায় গাছের দুই ডালের ফাঁকে বাঘটি অবস্থান করছে। গাছের পাশের সড়কে দাঁড়িয়ে বাঘটির পেছনের অংশ দেখা যায়। বাগানের ভিতরে ঢুকে সড়কের বিপরীত পাশে দাঁড়ালে বাঘটির মুখের অংশ দেখা যায়। সাধারণ মানুষের ধারণা, বাঘটি দুই ডালের ফাঁকে আটকা পড়েছে। যে কারণে নড়াচড়া করতে পারছে না। বিকাল ৪টার দিকে ফরিদপুর বনবিভাগের একটি দল খবর পেয়ে বাঘটিকে আটকাতে দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

ঘটনাস্থলের পাশেই কামরুল শেখ (৪২)-এর বাড়ি। তিনি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমি প্রথম বাঘটি দেখতে পাই। এরপর স্থানীয় লোকজন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন ছুটে আসে। বাঘটি ছিলাধরচর মহল্লার মরহুম হাসেম সাহেবের বাগানের রেইনট্রি গাছে রয়েছে। এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক রমজান সিকদার বলেন, বাঘটি দেখার পরেই আমি ভাঙ্গা দমকল বাহিনীকে জানাই। তারা বনবিভাগকে জানানোর পরামর্শ দেয়। এরপর ফরিদপুর বনবিভাগকে জানাই। খবর পেয়ে বিকাল ৪টার দিকে বনবিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে বাঘ আটকানোর কাজে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু তারা আটকাতে পারেনি।

উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করতে আসা ফরিদপুর বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসের বন প্রহরী জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ বাঘটি বিরল প্রজাতির মেছো বাঘ। আমরা প্রথমে গাছে উঠে বাঘটি আটকানোর চেষ্টা করি। পরবর্তীতে প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতায় গাছে উঠে যায়। চেষ্টা করে এত ওপর থেকে বাঘটি আটকাতে সক্ষম হইনি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর