মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

জেলের জালে দৈত্যাকৃতির শাপলাপাতা মাছ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

জেলের জালে দৈত্যাকৃতির শাপলাপাতা মাছ

বিরল প্রজাতির দৈত্যাকৃতির বাঘা শাপলাপাতা মাছ। আঞ্চলিকভাবে শাপলা পাতা মাছ বলা হলেও এটি হচ্ছে স্ট্রিং রে প্রজাতির মাছ। দৈত্যাকৃতির তিনটি বাঘা শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়েছে কক্সবাজারে জেলেদের জালে। যার একটির ওজন ১২০ কেজি, আরেকটির ৯৫ কেজি এবং অন্যটির ওজন ৮০ কেজি। এত বড় বড় শাপলাপাতা মাছ কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুনে দেখে অবাক হচ্ছেন পর্যটকরা। গত রবিবার দুপুরে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, একজন বা দুজন নন; এক-একটি মাছ বহন করছেন পাঁচ-ছয়জন। তাও আবার প্রতিটি মাছকে রশি দিয়ে বেঁধে টানানো হয়েছে বাঁশ দিয়ে। তারপর ট্রলার থেকে মাছ বহন করে ওজন করার জন্য নিয়ে আসা হয় কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুনে। শ্রমিকরা বলেন, বিশাল দৈত্যাকৃতির হওয়ায় এসব মাছ বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এসব মাছ ঢাকা ও চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়।

শ্রমিক আসাদুজ্জামান বলেন, সাগর থেকে ট্রলার যখন ঘাটে আসে তখন এসব বিশাল মাছ আমরা ট্রলার থেকে নামিয়ে পন্টুনে রাখি। তবে শাপলাপাতা মাছ বহন করা খুব কষ্ট হয়ে যায়। এত বড় বড় মাছ বহন করতে কমপক্ষে ছয়জনের বেশি শ্রমিক লাগে। মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগে এ মাছ প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হতো। কিন্তু এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকায়। এ ছাড়া শাপলাপাতা মাছের চামড়া খুবই মূল্যবান। মৎস্য ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন নবী বলেন, শাপলাপাতা মাছ অনেক বড় হয়। এ মাছ ছয় প্রজাতির হয়ে থাকে। তার মধ্যে বাঘা প্রজাতির শাপলাপাতা মাছ খুবই বিরল। এ মাছের ওপরের অংশে যে চামড়া রয়েছে তা বিদেশে রপ্তানি করা যায়। এ চামড়া দিয়ে মূল্যবান ব্যাগসহ নানা পণ্য তৈরি হয়ে থাকে। আর লেজ দিয়ে ওষুধও তৈরি হয়। এ মাছ এখন অনেকটা বিলুপ্ত। বিরল প্রজাতির দৈত্যাকৃতির ওই তিনটি শাপলাপাতা মাছ বিক্রি হয়েছে ১ লাখ টাকায়। যা সরবরাহ করা হচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর